সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। ’
সামছুদ্দিন জানান, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া কয়েক লাখ মানুষের বিপদ কেটে যাওয়ার তাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা ১৬ লাখের বেশি মানুষ বিকাল নাগাদ তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে বরগুনায় দুজন, ভোলা ও নোয়াখালীতে একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু এবং বিভিন্ন জেলায় ৬৩ জন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, প্রধান তথ্য অফিসার জয়নাল আবেদিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন মোটামুটিভাবে শঙ্কামুক্ত। সবার প্রচেষ্টায় সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল যে কারণেই আমরা সফলভাবে এই ঘূণিঝড়কে মোকাবেলা করতে পেরেছি।’
নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে মেডিকেল টিমগুলো গিয়ে চিকিৎসা দেবে। এছাড়াও ঝড়ের কারণে যাদের বাড়ি ঘর নষ্ট হয়ে গেছে তাদের প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।