বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন
ওই দিনে একই সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট, সংসদ এবং স্থানীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আসনে প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজার প্রার্থী প্রতিযোগীতা করেন।
চিকিৎসকরা বলছেন হাতে ভোট গুনতে হচ্ছে বলে অনেকটা সময় লাগছে। আর তা থেকেই অবসাদে ভুগছেন কর্মীরা। সেই কারণেই তাদের মৃত্যু হচ্ছে। শুধু ২৭২ জনের মৃত্যু নয় এযাবৎ প্রায় ১ হাজার ৯০০ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।
মৃত এবং অসুস্থ ভোট কর্মীদের পরিবার যাতে ক্ষতিপূরণ পায় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে অসুস্থ ভোট কর্মীদের চিকিৎসার সমস্তরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় কাজ করছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের টিম। এভাবে হাতে ভোট গোনার ব্যবস্থা করে বিভিন্ন মহলের তোপের মুখে পড়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন।
গত ১৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার ১৯৩.৮ মিলিয়ন মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। প্রত্যেককে ৫টি করে ব্যালট পেপারে ভোট দিতে হয়েছিল সেদিন। নির্বাচন ঘিরে তেমন কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তারপর থেকেই দ্রুত বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। ভোটকর্মীদের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এখন অবস্থা যা তাতে আরও বেশ কিছু মানুষ নিজেদের জীবন হারাতে পারেন বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীপক্ষ। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী আহমেদ মাজানি বলেছেন কর্মীদের যাতে শরীর খারাপ না হয় বা মৃত্যু না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে কমিশন। এই দায় তাদের নিতেই হবে।