২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:৩৫

টাইব্রেকারে হেরে ডাবল জেতা হলো না পিএসজির

খেলা ডেস্ক

২১ মিনিটে দারুণ এক চিপে রেনের জালে বল পাঠালেন নেইমার, পিএসজি এগিয়ে গেল ২-০ গোলে। ফ্রেঞ্চ কাপে পিএসজির টানা পঞ্চম শিরোপা জয় তখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু পিএসজিকে হতবাক করে ঠিকই ম্যাচে ফিরল রেনে। শেষ পর্যন্ত ফাইনাল গড়ালো পেনাল্টিতে, সেখানেও ছড়াল রোমাঞ্চ। পেনাল্টিতে পিএসজিকে ৬-৫ গোলে হারিয়ে ১৯৭১ সালের পর আবার ফ্রেঞ্চ কাপ জয়ের স্বাদ পেল রেনে।

লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। ‘ডাবলের’ আশায় কাল স্টাডে ডে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার-এমবাপ্পেরা। আগের চার আসরেই লিগ কাপ ঘরে তোলা পিএসজি শুরু থেকেই রেনেকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ১৩ মিনিটেই দানি আলভেসের দারুণ এক ভলিতে এগিয়ে যায় তারা। এর আট মিনিট পর লিড দ্বিগুণ করেন নেইমার। জানুয়ারির পর প্রথম একাদশে নেমেই গোল পেলেন তিনি, তার গোলটা এসেছে চোখ ধাঁধানো এক চিপেই।

দুই গোলে এগিয়ে থেকে ব্যবধান আরও বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ৪০ মিনিটে। কিমপেম্বের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় রেনে। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৬ মিনিটে পিএসজিকে চমকে দিয়েই ম্যাক্সের সিতোইর গোলে ম্যাচে সমতা আনে রেনে। নির্ধারিত সময়ের মাঝে আর গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়েই জিততে পারত পিএসজি। কিলিয়ান এমবাপ্পের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে সেটা হয়নি। এই এমবাপ্পেই ১১৮ মিনিটে ড্যামিয়েন ডি সিলভাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

পেনাল্টিতেও দুই দল ছিল সমানে সমান। প্রথম এগারো শটে গোল পেয়েছেন সবাই। ১২তম শটে বল পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন বদলি হিসেবে অতিরিক্ত সময়ে নামা এনকুকু। আর এতেই ডাবল জয়ের স্বপ্ন ভাঙে পিএসজির। ২০১১ সালের পর এই প্রথম কোন কাপের ফাইনালে উঠে হারতে হলো তাদের।

অন্যদিকে নিজেদের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়বারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপ জিতল রেনে। ম্যাচের আগে রেনে সমর্থকরা কি এমন কিছু কল্পনাতেও ভেবেছিলেন?

প্রকাশ :এপ্রিল ২৮, ২০১৯ ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ