দেশজনতা অনলাইন : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া থানার সোহরাব ফকির (৮৮) ও হেদায়েত উল্লাহ’র (৮০) বিরুদ্ধে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপস কান্তি বল। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন আব্দুস শুকুর খান।
এর আগে গত ৭ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি যেকোনো দিন রায় ঘোষণার জন্য সিএভি (অপেক্ষমান) রাখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এই তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুানালে দাখিল করা হয়।
এ মামলায় আসামি ছিলেন তিন জন। তবে বিচার চলাকালীন আসামি এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) মারা যায়। আসামিদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে।
তাদের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ ১: একাত্তরের ২৯ মে নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া থানার মধুয়াখালী গ্রামে ২০-৩০টি ঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং গণহত্যার সমতুল্য অপরাধ।
অভিযোগ ২: একাত্তরের ২৩ অগাস্ট নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া থানার মোবারকপুর গ্রামের শহীদ মালেক তালকুদার ও কালা চান মুন্সীকে অপহরণ, হত্যা এবং লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ।
অভিযোগ ৩: একাত্তরের ৩০ অগাস্ট নেত্রকোণা জেলার মদন থানার মদন গ্রামের শহীদ হেলিম তালুকদারকে অপহরণ ও হত্যা এবং লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ।
অভিযোগ ৪: একাত্তরের ৩ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া থানার সুখারী গ্রামের দীনেশ চন্দ্র, শৈলেশ চন্দ্র, প্রফুল্ল বালা, মনোরঞ্জণ বিশ্বাস, দূর্গা শংকর ভট্টাচার্য্য, পলু দে, তারেশ চন্দ্র সরকারকে অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ এবং বেশ কিছু হিন্দু পরিবারকে দেশত্যাগে বাধ্য করা।
অভিযোগ ৫: একাত্তরের ২ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণা জেলার মদন থানার মাঝপাড়া গ্রামের হামিদ হোসেনকে অপরাহরণ, নির্যাতন।
অভিযোগ ৬: একাত্তরের ৬ সেপ্টেম্বর নেত্রকোণা জেলার মদন থানার মদন গ্রামের ১৫০-২০০টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা।