নিজস্ব প্রতিবেদক
শপথ নেবেন না বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকেই এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শত নাগরিক আয়োজিত ‘খালেদা জিয়া তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে বিএনপি নেতারা এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী শুধুমাত্র একটি কারণে আজ কারাগারে। সেটা হলো- বিএনপিকে নিঃশ্বেস করে দেয়া। বিএনপির রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া এবং দেশনেত্রীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে না, হতে পারে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
কারণ তিনি একজন সেনানায়ককের স্ত্রী। তিনি হঠাৎ ক্ষমতায় বসে পড়েননি। দীর্ঘ ৯ বছর লড়াই সংগ্রাম করে জনগণকে ভালোবেসে, তাদের ভালবাসায় রাষ্ট্র পরিচালার দায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশে দুই জন মানুষের অবদান সবচেয়ে বেশি।
তার একজন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অপরজন হলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। এই বিষয়টা আমাদের মনে করতে হবে। তিনি বলেন, এখানে মুরুব্বি যারা আছেন তারা জানেন, বিএনপির ঘোষণাপত্র ছিলো প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু যখন স্বৈরাচার এরশাদকে সরাতে জাতীয় ঐক্যের বিষয় আসলো। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করার প্রেক্ষাপট তৈরি হল। তখন এটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাড়ালো। ওই সময় প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্রের ঘোষণার কারণে ঐক্য হচ্ছিল না অথবা ভেঙে যাচ্ছিল। তখন সংসদীয় গণতন্ত্রের ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। সুতরাং মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলতে যা কিছু এর সব অবদান জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার অবদান সবচেয়ে বেশি।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে ভেঙে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে। নিশ্চিহ্ন করার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে। এবারও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি কারণে কারাগারে রাখা হয়েছে। সেটা হলো- বিএনপিকে নিঃশেষ করা। বিএনপিকে ধ্বংস করে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে দেয়া। কিন্তু সম্ভব হবে না, হতে পারে না। কারণ বিএনপি ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি হচ্ছে, এদেশের মানুষের রাজনীতি। তাই কখনো হতাশ হবেন না। হতাশার কথা বলবেনও না। হতাশার কথা শুনতে চাইনা। যারা বলেন, বিএনপি নিঃশেষ হয়ে গেছে- আমি তাদের সঙ্গে একমত না। বিএনপি প্রতিটি সংকটের সময় উঠে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ বিএনপি দেশের জনগণের দল। আমরা সবাই অত্যান্ত আশাবাদী, আমরা বিশ্বাস করি- আমাদের নেত্রী জেলে থাকুন আর বাইরে থাকুন, তিনিই আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনিই আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে আনবেন ইনশাআল্লাহ।