দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক : কয়েকদিন বাদেই শুরু হচ্ছে বৈশাখ মাস। তার আগেই দেশজুড়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ও বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। তবে এই ঝড়ের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে থাকবে তীব্র বজ্রঝড়ও।
আর এসব কেটে গেলেই মাঝে মধ্যে তীব্র দাবদাহ নিয়ে রুক্ষমূর্তি ধারণ করবে প্রকৃতি। তাই এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এপ্রিল মাসেই দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩টি বজ্রসহ মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৪ থেকে ৫ দিন হালকা অথবা মাঝারি কালবৈশাখী অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে।
আর দাবদাহের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) এবং অন্যান্য স্থানে ১ থেকে ২টি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াল) বয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে মে মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে-উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যান্য স্থানে ৩ থেকে ৪ দিন হালকা অথবা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য স্থানে ২ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ মে মাসে তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে আবহাওয়া অফিস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চৈত্র মাসে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বাতাস গরম হয়ে উপরে ওঠে। পরে জলীয়বাষ্পের সঙ্গে মিশে এই গরম বাতাস যখন দ্রত ঠাণ্ডা হয় তখনই বজ্রমেঘের সৃষ্টি হয়।
এদিকে মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিন্মচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আরো জানা গেছ, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমদ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এরইমধ্যে কৃষিমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। যার অনুলিপি দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

