২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৪২

ভোটের জেরে সুবর্ণচরে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ একাদশ সংসদের ভোটের রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের তিন মাস পেরোতে না পেরোতেই ভোটের জেরে আবারও গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবারের ঘটনাটিও ঘটেছে একই উপজেলায়। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট করায় প্রতিপক্ষের লোকজন ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নির্যাতিতা ওই নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার উত্তর বাগ্গ্যা গ্রামের রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা নারী অভিযোগ করে বলেন, রবিবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট চলছিল। তিনি ও তার স্বামী চশমা প্রতীকের প্রার্থী তাজউদ্দিন বাবরের ভোট করেন। ভোট শেষে সন্ধ্যার দিকে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। পথে তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০/১২ জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে।

এ সময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার স্বামীকে আটকে রেখে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারীতে দেখতে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিষা।

দীপক জ্যোতি খিষা বলেন, নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদের ভোটের পর রাতে সুবর্ণচরে বাড়িতে হানা দিয়ে চল্লিশোর্ধ চার সন্তানের জননীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মামলার বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ :এপ্রিল ১, ২০১৯ ১২:৫০ অপরাহ্ণ