২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৩৮

মানুষ বাঁচাতে সরকারের আগ্রহ নেই: রিজভী

দেশজনতা অনলাইনঃ সরকার দাবি করে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে মহাকাশ জয় করেছে, অথচ মানুষ বাঁচানোর জন্য তাদের কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেন, ‘দেশের জনগণ মনে করে, এই আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যুর দায় শেখ হাসিনা সরকারের।’

শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘যারা মধ্যরাতে ভোট করে, তারা গণবিরোধীই হয়। সেজন্য মানুষ বাঁচাতে তারা কোনো দায় বোধ করে না।’

রিজভী বলেন, ‘এর আগে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর পরও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত করেনি। যদি করতো, তাহলে আগুনে পুড়ে এতো মানুষের প্রাণ যেত না।’

দেশে ২২ তলা ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘অথচ উন্নত দেশে আগুন নেভাতে ও মানুষ উদ্ধারে কত আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে বলে আওয়ামী লীগের সপ্তকণ্ঠে চাপাবাজি চলছে। আসলে সরকার দুর্নীতির মহাসড়কে হাঁটছে।’

বিভিন্ন দুর্ঘটনায় প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন মানুষের প্রাণ ঝরছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আগুন, বেপরোয়া গতির যানবাহন, ফিটনেসবিহীন লঞ্চ ও বাসের কাছে মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। একটা জবাবদিহিহীন সরকার থাকার কারণেই মৃত্যুর মিছিল থামছে না।সুশাসন থাকলে এই অব্যবস্থাপনা চলতো না।’

ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন না করে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম দমনের জন্য আধুনিক মারণাস্ত্র কেনা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, ‘বিপজ্জনক টিয়ারশেল, স্মোক গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, গোলমরিচ-স্প্রেসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য, মানুষ হত্যার জন্য, নিয়ে আসা হয়েছে ৩০ হাজার শর্টগান। হাজার কোটি টাকা খরচ করে এসব শর্টগানের জন্য ৩০ লাখ কার্তুজ আমদানি করা হয়। স্বীকারোক্তি আদায় বা নির্যাতনের জন্য আনা হয়েছে ইলেকট্রিক চেয়ার ও ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অত্যাধুনিক ডিভাইস। বিরোধী দলের ফোনে আড়িপাতার জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।’

‘শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অথচ তার সেই চেতনায় গণতন্ত্র অনুপস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের অন্তর্নির্হিত স্পিরিটই ছিল গণতন্ত্র। তিনি ও তার দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে গণতন্ত্রকে মুছে দিয়ে বাকশালকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বাকশাল হচ্ছে জনগণকে খোঁয়াড়ে বন্দী করার ব্যবস্থা।’

প্রকাশ :মার্চ ৩০, ২০১৯ ৪:২৪ অপরাহ্ণ