দেশজনতা অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডে দুই শতাধিক দোকান পুড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোকান, পুড়েছে দোকানের মালামাল আর তাদের স্বপ্ন। ২০১৭ সালে এই মার্কেটে আগুন লেগেছিল। সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগে ফের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তা মানতে পারছেন না। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে বিলাপ করছেন।
কাঁচাবাজারের একটি কনফেকশনারী দোকানের মালিক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পুরো কাঁচাবাজারের কোনো দোকানই অবশিষ্ট নেই। বাজারের ২৯২টি দোকানের মধ্যে ৮১টি দোকান কিছুদিন আগে ডিএনসিসি মার্কেটের পার্কিংয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। বাকি ২১১টি দোকানের সবগুলোই আগুনে পুড়ে গেছে।
মার্কেটের একটি কসমেটিকসের দোকানের কর্মচারী সালাম বলেন, তাদের দোকানের সব পুড়ে গেছে। ২০১৭ সালের আগুনের পর মালিক ব্যাংক ঋণ করে আবার ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এ ঋণও পরিশোধ করতে পারেননি।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। যদিও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি।
ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানিয়েছে, গুলশান-১ ডিএনসিসি শপিং সেন্টারের পেছনের দিকের একটি বেবিশপের গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও মার্কেট ভবনের গেটগুলোতে তালা লাগানো থাকায় সঙ্গে সঙ্গে ঢুকতে পারেনি তারা। ফলে সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও সাধারণ মানুষের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেছেন, ২০১৭ সালে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য তিন থেকে চারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিট প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ঢাকার উপ-পরিচালক শামীম হাসান চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।