অনলাইন
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক সাজু ও নূরনবী সরকারসহ ৫ জন আহত হয়েছে। টংভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙচুর করে ছুড়ে ফেলে দেয়। মঙ্গলাবার (২৬শে মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মাদক মামলার তালিকা ভুক্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক শিবির ক্যাডার সদরুল আমিন রিপন তার ছোট ভাই খোকনসহ কয়েকজন আসাদুজ্জামান সাজুর উপর এ হামলা চালায়। আসাদুজ্জামান সাজু দৈনিক মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি। এ সময় দৈনিক আমাদের সময়ের হাতীবান্ধা উপজেলা প্রতিনিধি নূরনবী সরকার ও পথচারী শরীফ মোল্লা হামলার শিকার হন। আসাদুজ্জামান সাজু ও শরীফ মোল্লা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও সরওয়ার হায়াত খান গ্রুপের লোকজনের মাঝে সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। পরে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন দলীয় অফিস ত্যাগ করে চলে যান। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার সকাল থেকে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু গ্রুপের নেতা কর্মীরা সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে শহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে মিছিল দেয়। এ সময় অপরদিক থেকে সরওয়ার হায়াত খানের গ্রুপের লোকজন স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে এলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর লোকজন মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজু, আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি নূরনবী সরকার ও পথচারীর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা শহরে থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে আবারও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলার আমতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তারপরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতাযেন করা হয়েছে। তবে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক বলেও জানান তিনি।