২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১১

দ্বিতীয় ধাপে উপজেলায় নিরুত্তাপ ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জেলার শতাধিক উপজেলায় আজ সোমবার ভোট নেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও জোট বর্জন করায় এ নির্বাচনও অনেকটা একতরফা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের ২৩টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় কোনো পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ভোট নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।

যে ছয়টি উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না, সেসব উপজেলা হচ্ছে নওগাঁ সদর, পাবনা সদর, ফরিদপুর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া এবং চট্টগ্রামের রাউজান ও মিরসরাই। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

এর বাইরে আরও ১৬টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না। উপজেলাগুলো হচ্ছে রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া; দিনাজপুরের হাকিমপুর, পার্বতীপুর, ঘোড়াঘাট; বগুড়ার আদমদীঘি, শেরপুর; পাবনার সুজানগর; মৌলভীবাজারের সদর; চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া; কাপ্তাই, লংগদু এবং খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি।

এ ছাড়া ১৩টি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ১২টি উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এসব পদেও ভোট হচ্ছে না। সব মিলিয়ে ৪৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৩৭৭ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৪৮ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭ হাজার ৩৯টি। নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে এসব উপজেলায় আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়। তিন পার্বত্য জেলার যেসব উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে, সেগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে অতীতে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেলেও এবারের উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে নিরুত্তাপ পরিবেশে। এক সপ্তাহ আগে ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুব কম। ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভোট পড়ার হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।

দ্বিতীয় ধাপে ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি। পরে ঘোষিত তফসিল থেকে গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার নির্বাচন তৃতীয় ধাপে ও দিনাজপুর সদর উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এ ছাড়া আদালতের রায়ে ইসি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে।

গতকাল রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে ইসি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে পক্ষপাত ও অনিয়মের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করেছে ইসি। এ ছাড়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদমের ওসিকে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

প্রকাশ :মার্চ ১৮, ২০১৯ ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ