খেলা ডেস্ক
উয়েফা ইউরোপা লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে বৃহস্পতিবার রাতে দাপুটে জয় পেয়েছে চেলসি। ডায়নামো কিয়েভকে ৫-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা।
কিয়েভ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে চেলসি। ফলাফল পেতেও সময় লাগেনি ইংলিশ জায়ান্টদের। ৫ মিনিটে কর্নার থেকে রুবেন লফটাসের হেড থেকে বল পেয়ে যান অলিভার জিরুড। বাম পায়ে শটে বল জালে পাঠিয়ে দলকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন তিনি।
দ্বিতীয় গোল পেতেও সময় লাগেনি তাদের। ৩৩ মিনিটে মার্কোস আলোনসোর ক্রস থেকে জিরুডের শট কিয়েভের গোলরক্ষককে পরাস্ত করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০ গোলের। লিড পেয়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় চেলসি। প্রধমার্ধের শেষ দিকে সাফল্যের দেখা পায় তারা। ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি বক্সের ডান দিক দিয়ে হডসনের বাড়ানো বল মার্কোস আলোনসো স্লাইডিং ট্যাকেল দিয়ে বল কিয়েভের জালে পাঠালে ৩-০ গোলের লিড পায় চেলসি।
বিরতির পর আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় অল ব্লুজ শিবির। তবে ৫০ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল ডায়নামো কিয়েভ। প্রথমবার চেলসি গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ও দ্বিতীয়বার গোলবারে লেগে বল ফেরত আসে।
তবে ৫৯ মিনিটে গোলের দেখা পায় চেলসি। পেনাল্টি বক্সের ডান পাশ থেকে উইলিয়ানের নেওয়ার ফ্রি-কিক থেকে হেড দিয়ে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন অলিভার জিরুড। চেলসি পেয়ে যায় ৪-০ গোলের লিড।
আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় চেলসি। ৭৮ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় তারা। হডসন ওডোয়োর ডান পায়ের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় অল ব্লজ শিবির।
ম্যাচের বাকিটা সময় আর কেউ বলার মতো কোনো গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফলে ৫-০ গোলের বড় জয় পায় চেলসি। দুই লেগ মিলে ৮-০ গোলের বড় জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে সারির শিষ্যরা।
ফ্রেঞ্চ ক্লাব স্টেড রেনেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা ইউরোপা লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌছালো আর্সেনাল।
ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে আর্সেনাল। ৫ মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। অ্যারোন রামজির পাস থেকে বল পেয়ে যান আউবামেয়াং। পেনাল্টি বক্সের ৬ গজ দূর থেকে বাম পায়ের শটে আর্সেনালকে ১-০ গোলে লিড এনে দেন।
লিড পেয়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় গানাররা। ১৫ মিনিটে আর্সেনালের একটি আক্রমণের বল বাম পাশের বাই লাইনের অতিক্রম করার আগ মুহূর্তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ক্রস করেন আউবামেয়াং। সেই ক্রস থেকে গোল পোস্টের কাছ থেকে আইন্সলে মাইটল্যান্ড হেড দিয়ে বল জালে পাঠান। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। দুই লেগ মিলে ৩-৩ গোলের সমতায় ফেরে গানাররা। তবে অ্যাওয়ে গোলে লিড পায় স্বাগতিক দল।
লিড ধরে রেখেই প্রথমার্ধ শেষ করে আর্সেনাল। বিরতির পর শুরুতেই ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল রেনেস। গ্রিনিয়ের নেয়া শট গোলবারে লেগে ফেরত আসে।
এরপর ৭২ মিনিটে গোল উৎসবের উপলক্ষ পেয়ে যায় আর্সেনাল। কোলাসারিকে পাস থেকে বল পেয়ে যান আউবামেয়াং। ডান পায়ের শটে গোল করে দলের ব্যবধান ৩-০ করেন তিনি।
ম্যাচের ৮২ ও ৮৩ মিনিটে দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আউবামেয়াং। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া রেনেস শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে আর্সেনালের ডিফেন্সের ওপর চাপ তৈরি করেও গোল আদায় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় পায় উনাই এমরির শিষ্যরা। দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলের জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে আর্সেনাল।