২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:০০

রোদ, বৃষ্টি, তুষারে বার্নলিকে ‘পোড়াল’ লিভারপুল

খেলা ডেস্ক

অ্যানফিল্ডে ম্যাচের আধঘন্টার মধ্যে প্রকৃতির নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে কয়েকবার। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘুরেছে ম্যাচের ভাগ্য। রোমাঞ্চ বলতে অবশ্য ওইটুকুই। শেষদিকে অবশ্য আরেক দফা জমে উঠেছিল ম্যাচ। এভারটনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের হতাশা লিভারপুল ভুলেছে বার্নলিকে আফসোসে পুড়িয়ে। রক্ষণে যতবার ভুল করেছে বার্নলি, ততোবারই লিভারপুল দিয়েছে শাস্তি। তাই শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ গোলের জয় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার রেসে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে থাকল লিভারপুল।

বার্নলির বিপক্ষে লিভারপুলের জয়ে বড় অবদান রবার্তো ফিরমিনো ও সাদিও মানের। আগের চার ম্যাচের তিনটিতেই গোলশূন্য থাকা লিভারপুলের আক্রমণভাগের জন্যও সেটা স্বস্তির খবর। মোহাম্মেদ সালাহ গোল পাননি, তবে দলের জয়ে অবদান আছে তারও।

রোদ ঝলমলে অ্যানফিল্ডে শুরুতে অবশ্য লিভারপুলকে চমকে দিয়েছিল বার্নলি। ৬ মিনিটে কর্নার থেকে সরাসরি গোল করে বসেন অ্যাশলি ইস্টউড। অ্যানফিল্ডে তখন অস্বস্তিই ভর করেছিল। রোদ আড়াল করে গম্ভীর আকাশে বৃষ্টিও ঝরল কিছুক্ষণ। ওর মধ্যেই এক গোল শোধ করলো লিভারপুল ১৯ মিনিটে। ডানদিক দিয়ে মোহাম্মেদ সালাহ সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর ক্রস করেছিলেন, টম হিটন আর তারকোস্কি দুইজনই গোলমাল পাকিয়েছেন সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে। রবার্তো ফিরমিনো সহজ ট্যাপ ইনে বাকি কাজ সেরেছেন ১৯ মিনিটে।

এরপর এক দফা তুষারপাতের পর রোদ ফিরে এলে অ্যানফিল্ডেও স্বস্তি ফেরে। আবারও রক্ষণে তালগোল পাকিয়ে নিজেদের অর্ধ থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ বার্নলি, পুরো ফায়দা লুটে অ্যাডাম লালানা করলেন শট ব্লক। সেটাই গোল থেকে ১০ গজ দূরে সালাহকে খুঁজে পেল। সালাহকে গোল করতে না দিলেও শেষরক্ষা করতে পারেনি বার্নলি ডিফেন্ডাররা। ডানদিকে থাকা মানে নিখুঁত ফিনিশে লিভারপুলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন ম্যাচে।

দ্বিতীয়ার্ধে বার্নলি ছিল লিভারপুলের ছায়াতেই। আক্রমণে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা, লিভারপুলও অবশ্য নিশ্চিত গোলের সুযোগ তেমন একটা তৈরি করতে পারেনি প্রথম বিশ মিনিটে। এর আগ পর্যন্ত ডিফেন্ডাররা ভুল করেছিলেন বার্নলির, এরপর যোগ দিলেন গোলরক্ষক হিটন। ৬৭ মিনিটে গোলকিক নিলেন, সেটা চলে গেল সালাহর কাছে। এরপর এক দৌড়ে গোলের কাছাকাছি গিয়েও ডিফেন্ডার চার্লি টেইলরের ট্যাকেলে গোল পাওয়া হয়নি সালাহর। কিন্তু আরও একবার জায়গা মতো থেকে এবার ফাঁকা বারে গোল করলেন ফিরমিনো।

ম্যাচের ভাগ্য তখনই লেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষদিকে কিছুটা উত্তেজনা ফেরে বার্নলি এক গোল শোধ করার পর। ৯১ মিনিটের ওই গোলে অবশ্য আফসোস আর কমেনি বার্নলির। শেষদিকে উলটো রক্ষণ খালি করে আক্রমণে মনযোগী হয়ে আরেকবার কপাল পোড়ে শন ডাইচের দলের। সাদিও মানের দ্বিতীয় গোলে সব সংশয় কাটে অ্যানফিল্ডেও।

প্রকাশ :মার্চ ১১, ২০১৯ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ