খেলা ডেস্ক
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ—বার্সেলোনার আক্রমণ সামলাতেই ঘাম ঝরেছে রায়ো ভায়েকানোর। অথচ ন্যু ক্যাম্পে প্রথম গোলটা হজম করতে হলো স্বাগতিকদেরই! ম্যাচের ২৪তম মিনিটে রাউল ডি টমাসের গোলে এগিয়ে যায় রায়ো। তবে গোল হজম করেও বার্সেলোনার আক্রমণের ধার কমেনি একটুও। প্রথমার্ধেই গোল পরিশোধ করেন পিকে। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। ম্যাচের শেষদিকে এসে অতিথিদের বুকে শেষ ছুরি চালান সুয়ারেজ। এই ত্রয়ীর গোলের সুবাদে বার্সেলোনা ৩-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
বার্সেলোনার ত্রাতা হিসেবে আরও একবার আবির্ভাব হলেন মেসি। আর্জেন্টাইন গোলমেশিনের জাদুতেই খেলায় ফেরে ভালভার্দের শিষ্যরা। নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেনও। মাঠে ছিলেন দুর্দান্ত। ইউরোপের সেরা পাঁচ লিগে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ (২৬) গোলের মালিক এখন মেসি। গোল এসিস্টের রেকর্ডও বার্সেলোনার এই ফুটবল জাদুকরের।
১৮তম মিনিটে সুযোগ হাতছাড়া করেন সুয়ারেজ। মিনিট দু-এক পর মেসির বাড়ানো বল থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সামেদোও। এরপর বুসকেটসের বাড়ানো বল থেকে মিস করেন মেসি নিজেই। পরের মিনিটেই কুতিনহোর শট আটকে দেন রায়োর গোলরক্ষক। সেখান থেকে পাল্টা আক্রমণে ডি বক্সের বাইরে থেকে রাউল ডি টমাসের দুর্দান্ত শটে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় বার্সেলোনা।
এরপর একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করা বার্সেলোনা গোলের দেখা পায় ৩৮তম মিনিটে। ডান পাশ থেকে নেওয়া মেসির বাঁকানো ফ্রি কিকে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান পিকে।
দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটেই পেনাল্টি আদায় করেন সেমেদো। ৫১তম মিনিটে মেসির বাঁ পায়ের স্পট কিকে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ৮২তম মিনিটে অতিথিদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সুয়ারেজ।