বিদেশ ডেস্ক
ভারতের বিভাজনের রাজনীতি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধ্বংস করে দিতে পারে বলে সতর্ক করলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট। বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তিনি ‘ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’র কাছে তার বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে ভারতের উদ্দেশে এই সতর্ক বার্তা দেন বলে রয়টার্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’।
মিশেল ব্যাচলেট জানান, ভারতের সংকীর্ণ রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলো ইতোমধ্যে একটি অসম সমাজের দুর্বল মানুষদেরকে কোণঠাসা করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আমরা যে তথ্যগুলো পাচ্ছি, সেগুলো ভারতের দলিত ও আদিবাসীর মতো ঐতিহাসিকভাবে অনগ্রসর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ এবং বিশেষ করে মুসলিমদের প্রতি হয়রানি বাড়ছে বলে ইঙ্গিত করছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স’র(সিআরপিএফ) গাড়িবহরে স্থানীয় এক যুবকের আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পর দেশটির বেশ কয়েকটি প্রদেশে কাশ্মীরি ও মুসলিমদের প্রতি হয়রানি ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
পুলওয়ামা হামলা দায় স্বীকার করে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘জইশ-ই-মোহাম্মদ’। এর জেরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে সংগঠনটির শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে তিন শতাধিক জঙ্গি হত্যা করেছে বলে দাবি করে ভারত।
তবে ভারতের হামলা চালানোর দাবি স্বীকার করলেও হতাহতের দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান। জবাবে লাইন অব কন্ট্রোল(এলওসি) পার হওয়া দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত এবং উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
পরবর্তীতে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব এবং অবিলম্বে ও নিরাপদে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে ভারত। পাকিস্তান শান্তির বার্তা হিসেবে অভিনন্দনকে দেয়। তবে তাকে জেনেভা কনভেনশন অনুসারে ছাড়া হয় বলে দাবি করে ভারত।