মার্চ মাসে তিন–চার দিন হালকা থেকে মাঝারি এবং মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার কালবৈশাখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরপর এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি এবং পরবর্তী সময় একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এই আভাস দেওয়া হয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, মার্চ মাসে ক্রমান্বয়ে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। তাপমাত্রা বেড়ে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। একইভাবে এই মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুদিন মাঝারি অথবা তীব্র কালবৈশাখী বজ্র-ঝড় ও দেশের অন্যত্র দুই থেকে তিন দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী বজ্র-ঝড় হতে পারে।
জানতে চাইলে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ শ্রীকান্ত কুমার বসাক জানান, ঢাকা থেকে একটি পূর্বাভাসে মার্চ মাসের শেষের দিকে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া দুই থেকে তিন দিন দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে তীব্র কালবৈশাখী বজ্র-ঝড় ও দেশের অন্যত্র চার থেকে পাঁচ দিন হালকা–মাঝারি কালবৈশাখী বজ্র–ঝড় হতে পারে। একই সঙ্গে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে এপ্রিলে একটি তাপ প্রবাহও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়।
এদিকে, গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের আকাশ ছিল মেঘলা। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর থেকে।
আবহাওয়াবিদ শ্রীকান্ত কুমার বসাক স্থানীয় পূর্বাভাসের সূত্র ধরে বলেন, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) কোথাও কোথাও অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি এবং বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৮ কিলোমিটার যা দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার কিংবা তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
গতকাল চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।