নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে ভোটাররা ঘর থেকে বের হননি বললেই চলে। বলতে গেলে ভোটার ছাড়া ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল চারটায়। দুই সিটির এ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের কোন আগ্রহ দেখা যায়নি। বেলা ১২টার পরও অকেন কেন্দ্রে ভোটারদের দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডে (সম্প্রসারিত) সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রার্থী যারা
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)।
এদিকে, উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোটকেন্দ্র ভোটার শূন্য
সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। সকালে বৃষ্টি থাকার কারণে ভোটার কম বলে প্রার্থীরা দাবি করলেও রোদ ওঠার পরেও কেন্দ্রগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা ছিল। তবে যেসব এলাকায় কাউন্সিলর নির্বাচন ছিল, সেসব এলাকায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নিজেও একথা স্বীকার করেছেন। সকালে তিনি হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ কেন্দ্রে তুলনামূলকভাবে ভোটার কম।
এদিকে, কেবল মেয়র নির্বাচন হচ্ছে এমন কেন্দ্রে ভোটার না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের।’
রোদ উঠলেও ভোটার নেই
এদিকে বুধবার থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি থাকায় ভোটার কম বলা হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর নগরীতে রোদ ছিল, কিন্তু কেন্দ্রগুলোতে তেমন ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। সরেজমিনে বিভিন্ন কেন্দ্রে খবর নিয়ে পুরোকেন্দ্র খালি দেখা গেছে।
এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুলে দুপুর দেড়টার দিকে দেখা গেছে, সেখানে একজন ভোটারও নেই। রোদে ঝলমল স্কুলমাঠ লোকজন শূন্য। এই কলেজে ভোট কেন্দ্র চারটি। দুপুর দুটা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে একশোর কম। ভোটারের উপস্থিতি কম থাকায় গল্প করে সময় কাটছে নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।