নাসরিন সুলতানা আরো বলেন, আরাফাত সানীর আগে বিয়ে ছিল, সেটা আমি জানতাম না। সেখানে নাকি তার একটি বাচ্চাও আছে। তার সঙ্গে যখন আমি দেশের বাইরে ঘুরতে যাই তখন তার পাসপোর্টে অবিবাহিত লেখা ছিল। সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আমি তার জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
একই সঙ্গে নাসরিন সানীর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে ঘরে তোলার দাবিও জানান নাসরিন, যিনি নিজেকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করছেন।
সানীর পক্ষে জামিন শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও এম জুয়েল আহম্মদ।
সানীর আইনজীবীরা বলেন, আরাফাত সানীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। তাছাড়া আরাফাত সানী বর্তমানে লীগে খেলছেন। সেখানে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। এ অবস্থায় তার জামিন মঞ্জুর প্রয়োজন।
সানীর আইনজীবীরা আরো বলেন, তার (নাসরিন সুলতানা) সঙ্গে সংসার হোক আমরা সেটাই চাচ্ছি। এজন্য তাকে আলাদা ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে থাকছেন না। তিনি সানীর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে বলছেন। কিন্তু এটা সম্ভব না। কারণ নাসরিন সুলতানা আরাফাত সানীর প্রথম স্ত্রীর কথা জেনে-শুনেই তাকে বিয়ে করেছেন। এখন সানীর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিলে তিনিও মামলা করবেন। আরাফাত সানী এখন দুই স্ত্রীকেই রাখতে চাচ্ছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত সানির জামিন বর্ধিত করেন এবং ওই তারিখের মধ্যে তাদের মধ্যে সমঝোতার পরামর্শ দেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সানীর স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। ওই দিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর মামলার অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দীন মীর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে ঢাকার সিএমএম আদালতে নথি পাঠান। এরপর আদালত মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, সাত বছর আগে পরিচয়ের সূত্র ধরে আরাফাত সানী ও নাসরিন সুলতানার ঘনিষ্ঠতা হয়। একপর্যায়ে তারা দুজন দুজনকে ভালবাসেন। ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর অভিভাবকদের না জানিয়ে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরেও সানী দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে নাসরিন সুলতানাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরে তুলে নেননি। বারবার এ বিষয়ে চাপ দিলেও তিনি কালক্ষেপণ করেন।
এরপর গত বছরের ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে নাসরিন সুলতানা (Nasrin Sultana) নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নাসরিন সুলতানার আসল ফেসবুক মেসেঞ্জারে সানী-নাসরিনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নাসরিন সুলতানা।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ