অনলাইন
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের কফিল উদ্দিন। কাজ করেন বন্দরশ্রমিক হিসেবে। চার কন্যার জনক। বড় মেয়ে সামিয়া আক্তারের বয়স ১১ বছর। দ্বিতীয় কন্যা সাদিয়া আক্তারের বয়স ৭ বছর, পড়ে কোলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে। একই বিদ্যালয়ে প্রাথমিকে পড়ুয়া তৃতীয় মেয়ে মুন্তাহিনের বয়স ৫ বছর। সবার ছোট আদরের মাইশার বয়স সবে মাত্র ৩ বছর। এই চার বোনের তিনজনই সোমবার বিকেলে পানিতে ডুবে মারা গেছে। ছোট তিন মেয়ে সাদিয়া, মুন্তাহিন ও মাইশাকে হারিয়ে তাদের বাবা কফিল বাকরুদ্ধ।
কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহমদ নুর বলেন, সাদিয়া ও মুন্তাহিন বিদ্যালয় থেকে এসে খাওয়া-দাওয়ার পর বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে যায়। সঙ্গে যায় ছোট বোন মাইশাও। খেলতে খেলতে ছোট বোন মাইশা বাড়ির পাশে পুকুরে নেমে ডুবে যায়। এ সময় মাইশাকে উদ্ধারের জন্য অন্য দুই বোন সাদিয়া ও মুন্তাহিন পুকুরে নামলে তারাও পুকুর থেকে উঠতে পারেনি। ছোট বোন মাইশার সঙ্গে ডুবে যায় সাদিয়া ও মুন্তাহিন।
দীর্ঘক্ষণ মেয়েদের না দেখে তাদের খুঁজতে থাকেন মা। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন তাঁর মেয়েদের মরদেহ পুকুরে ভাসছে। সাদিয়া-মাইশাদের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুকুর থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে।