নিজস্ব প্রতিবেদক
ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় বাসার দুই গৃহকর্মী ও তাদের সরবরাহকারীকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। বাসার মূল্যবান মালামাল লুটের আশায় এ হত্যাকা- হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গতকাল এসব কথা জানান। নিহতের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা গতকাল নিউমার্কেট থানায় মামলা করেছেন। এতে বাসার দুই গৃহকর্মী স্বপ্না ও রেশমি এবং তাদের সরবরাহকারী রুনু ওরফে রাকিবের মাকে আসামি করা হয়েছে। তবে গত রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের উল্টো পাশে ৩৫ নম্বর মিরপুর রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৭ তলার ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার তিন আসামির মধ্যে স্বপ্নার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমির বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী। রুনু থাকেন রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক।
এদিকে গতকাল নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, মাহফুজা চৌধুরীর ঠোঁট, মুখ ও আঙুলে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতেরও চিহ্ন রয়েছে। একাধিক ব্যক্তি মিলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মাহফুজা চৌধুরীর হাতের একটি আঙুল ভেঙে যায়।
আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে মারুফ হোসেন সরদার বলেন, স্বপ্না, রেশমি ও রুনুকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। স্বপ্না ও রেশমিকে সেই বাসায় কাজে দিয়েছিলেন রুনু। বাসার মূল্যবান মালামাল লুটের আশায় রুনু হত্যার নেপথ্যে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাহফুজা চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সুকন্যা টাওয়ারের ওই ডুপ্লেক্স বাসায় তিন গৃহকর্মী কাজ করেন। তবে পলাতক দুজন ছাড়া অন্যজন সন্দেহের বাইরে রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।