নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লায় মো. এজাজ (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রতিবেশী এক দম্পতির ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন সোমবার রাতে নগরীর হাউজিং এস্টেটের ৩নং সেকশনের ৬৩নং বাড়ির সামনে। এ সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এজাজ ওই এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. দুলাল হোসেন হাউজিং এস্টেট ৩নং সেকশন এলাকার শহীদুল হকের মেয়ে সানজিদা সুলতানা মুন্নিকে বিয়ে করে। মুন্নির স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলায় আসামি হয়ে দুলাল দীর্ঘদিন কারাগারে ছিল। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে জামিনে বের হয়ে আসে দুলাল। মুন্নি বাবার বাড়িতে থাকতো। সোমবার বিকালে দুলাল তার কয়েকজন বখাটে বন্ধুসহ মুন্নিকে নিজ গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে। স্বামীর বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মুন্নিকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে দুলাল এবং তার সঙ্গীরা।
এ সময় বিরোধ থামাতে যায় প্রতিবেশী এজাজ। পরে মুন্নির স্বামী দুলাল হোসেন, হাউজিং এস্টেট এলাকার ‘আমাদের দোকান’ নামে একটি দোকানের মালিক দুলাল মিয়া ও পলাশসহ কয়েকজন বহিরাগত যুবক এজাজের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা এজাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
এজাজকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে নেয় স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এজাজ মারা যান।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন জানান, ‘মুন্নীর স্বামী দুলালের নামে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে। আহত মুন্নি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। এজাজের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।’