নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে ৭৯ জন শিক্ষার্থী। এতে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় আজ শনিবার উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করে রাখে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ এ.ভি.জে.এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬৮১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলের শিক্ষকদের জানানোর পরও তারা কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরীক্ষা শেষে কে. কে. গভ. ইন্সটিটিউট, মুন্সীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও রামপাল এন.বি.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম রকিব হায়দারসহ তার কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেটকে পাঠান। এ সময় পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাড়ি ফিরে যায়।
এ.ভি.জে.এম সরকারি বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, শনিবার বাংলা প্রথমপত্রে বিদ্যালয়টিতে ৬৮১ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী এবং ৯০ জন অনিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে দুইটি কক্ষে তিনটি বিদ্যালয়ের ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২০১৯ সালের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ভুল প্রশ্ন দেয়ার পর পরীক্ষা হলরুমের দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানানোর পরও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের ভুলের কারণে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরীক্ষার্থীরা।
এদিকে, ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণে এ.ভি.জে.এম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শিউলী আক্তার এবং হল সুপার তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার পরস্পরকে দোষারোপ করছেন।
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, দায়িত্বে যারা অবহেলা ও গাফিলতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পরীক্ষার্থীদের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।