খেলা ডেস্ক
স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে ১৯২/৬ ( হেনড্রিকস ৭৪, ডু প্লেসি ৭৮; শিনওয়ারি ৩/৩১, ওয়াসিম ১/২৩)
পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৮৬/৯ ( মালিক ৪৯, তালাত ৪০; শামসি ২/৩৩, মরিস ২/৩৯, হেনড্রিকস ২/৪০)
দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ রানে জয়ী
রান করেছেন মাত্র ১০, বোলিংও করেননি তিনি। কিন্তু ম্যাচসেরা হলেন সেই ডেভিড মিলার! শুনে অবাক লাগছে? আসলে রান, উইকেট নয়; মিলারকে ম্যাচসেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে তার দুর্দান্ত ফিল্ডিংই। তাঁর চারটি ক্যাচ ও দুটি দারুণ রানআউটেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ছয় রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো প্রোটিয়ারা।
১৯৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। এরপর বাবর আজম ও হুসাইন তালাতের ৮১ রানের জুটি তাদের জয়ের আশা দেখাচ্ছিল। তাবারিজ শামসির বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তালাত, ফেরার আগে করেছেন ৩২ বলে ৪০ রান। এরপরই শুরু ‘মিলার শো’। দুর্দান্ত এক রান আউটে বাবরকে ফেরান মিলার। বাবরের শট মিড উইকেটে ঠেকিয়ে দেন মিলার, এরপর সরাসরি থ্রোতে রান আউট করেন তাকে। ২৫ রানের ব্যবধানে পড়ে আরো দুই উইকেট, আসিফ আলি ও ইমাদ ওয়াসিম দুজনেই ফিরেছেন মিলারের ক্যাচে।
মোহাম্মদ রিজওয়ানও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি মিলারের দারুণ এক থ্রোতে। ডিপ মিড উইকেট থেকে দৌড়ে এসে করা মিলারের থ্রোতে রান আউট হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন শোয়েব মালিক। পাঁচ চার ও এক ছয় মেরে শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন মালিক। ওভারের তৃতীয় বলে মরিসের বলে মারতে গিয়ে লং অনে মিলারের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস, আফ্রিকা ম্যাচ জেতে ৬ রানে।
ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় উইকেটে রেজা হেনড্রিকস ও ফাফ ডু প্লেসির ১৩১ রানের দুর্দান্ত এক জুটিই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। দুজনেই পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। তবে ৭৪ রানে হেনড্রিকস ও ৭৮ রানে ফেরেন ডু প্লেসি। দুজনের উইকেটই নিয়েছেন উসমান শিনওয়ারি।
হেনড্রিকস-ডু প্লেসি ফেরার পর কেউই আর হাল ধরতে পারেনি। শেষ পাঁচ ওভারে উঠেছে তাই মাত্র ৩৫ রান। ৬ উইকেটে হারিয়ে ১৯২ রানের স্কোরটাই অবশ্য জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে আফ্রিকার।