খেলা ডেস্ক
দলটা যে বার্সেলোনা। সব ট্রফির জন্যই তাঁরা লড়াই করে যাবে শেষ পর্যন্ত। না হলে কি গত দশ বছরের মধ্যেই দু-দুবার ‘ট্রেবল’ সম্ভব! এবার কোপা ডেল রে শেষ আটে সেভিয়ার কাছে প্রথম লেগে ২-০ গোলে হেরে শেষ আট থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কা জেগেছিল টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। লা লিগা আর চ্যাম্পিয়নস লিগকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কোপা ডেল রে নিয়ে আগ্রহ কম বার্সেলোনার, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। মেসিকে কেন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল প্রথম লেগে তা নিয়েও কম কথা শুনতে হয়নি বার্সা কোচকে। তবে ফিরতি লেগের ফলই বলে দিচ্ছে কোনো টুর্নামেন্টকেই ছোট করে দেখে না বার্সা। সেভিয়ার মতো দলকে ৬-১ গোলে হারানো কি চাট্টিখানি কথা!
কাল ফিরতি লেগ জিতে মেসি বলেন, ‘এটা বলা হচ্ছিল যে কাপের আশা ছেড়ে দিয়েছি বা এটি নিয়ে আমাদের আগ্রহ নেই। বার্সেলোনায় আমরা সবকিছুর জন্য লড়াই করি। ’ এই ম্যাচ দিয়ে কোপা ডেল রে-তে গোলের ‘ফিফটি’ তুলে নিলেন মেসি, ‘গোলটি করার আগে আমি কয়েকটা সুযোগ মিস করেছি। কিন্তু ওরা কাজ সেরে রেখেছে এবং আমার গোলটা যখন হয়, তাঁর আগেই সব নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। দল অসাধারণ খেলেছে এবং আমরা পরের রাউন্ডে উঠে গেছি।’
এই ম্যাচ দিয়ে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন ব্রাজিল তারকা কুতিনহো। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের ১৩ মিনিটে বার্সা পেনাল্টি পেলেও মেসি সেটি নিজে না নিয়ে সতীর্থ কুতিনহোকে নিতে দিয়েছেন। দলে ফুটবলারদের সাহস ফেরাতে এর আগেও অনেকবার সতীর্থদের পেনাল্টি নিতে দেওয়ার নজির আছে মেসির। এ নিয়ে আর্জেন্টাইনের ব্যাখ্যা, ‘সে(কুতিনহো) লেভান্তের বিপক্ষে ম্যাচে একবার পেনাল্টি নিয়েছিল, সে এটা নিতে চায়। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। সে পেনাল্টি নিয়েছে এবং আমি খুশি যে এভাবেই একটি দল গড়ে ওঠে।’
কুতিনহো দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের এমন সহযোগিতায় মুগ্ধ। কুতিনহো বলেন, ‘লিও পেনাল্টি যেভাবে আমাকে নিতে দিল, তাঁর এই আচরণই প্রমাণ করে সে কত বড়। লিওকে ধন্যবাদ আমাকে পেনাল্টি নিতে নেওয়ার জন্য, এটা দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে। আমরা জানতাম এবার উতরে যাওয়ার জন্য আমাদের ম্যাচের প্রথম থেকেই লেগে থাকতে হতো।’
এক ম্যাচেই অনেক কিছু পেয়ে গেল বার্সেলোনা। আর ‘ট্রেবল’ জয়ের আশাও তাই এখনই ছাড়তে হচ্ছে না লা লিগার শীর্ষস্থানে থাকা দলটির।