খেলা ডেস্ক
রাজশাহী কিংস ১৪১/৮, ২০ ওভার (এভান্স ৩৫, কাইস ২২, রেজা ৩/৩০, শহিদুল ২/২৮)
রংপুর রাইডার্স ১৪৫/৪, ১৮.৪ ওভার (রুশো ৫৫, ডি ভিলিয়ার্স ২৭, মিরাজ ১/২৪)
রংপুর ৬ উইকেটে জয়ী
অন্তত রংপুরের এই ব্যাটিং লাইন-আপকে ১৪১ রানের মধ্যে আটকে রাখাটা সহজ নয়। রাজশাহী সেটা পারলও না। ক্রিস গেইল ও অ্যালেক্স হেলসকে তুলনামূলক দ্রুত ফেরালেও রাইলি রুশো ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৭১ রানের জুটিতে শেষরক্ষাটা হয়নি রাজশাহীর। এ জয় দিয়ে ১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে চলে যাওয়ার সঙ্গে শেষ চার নিশ্চিত করলো রংপুর, সঙ্গে সমান পয়েন্ট পাওয়া কুমিল্লাও চলে গেছে সেখানে।
এদিন বোলিং-ফিল্ডিংয়ে রাজশাহীর দরকার ছিল দারুণ কিছুর। শুরুতে ক্রিস গেইলের ক্যাচ মিস করে কাইস আহমেদ করলেন সেটার বিপরীত। মিরাজের টসড-আপ ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে অবশ্য ফিরলেন গেইল, ১০ রান করে। আর কাইসকে স্লগ করতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হলেন হেলসও, ১৬ রানে। তবে রংপুরের অপ্রতিরোধ্য গতির এ দুজনই তো শেষ চালক নয়, তখনও আছেন ডি ভিলিয়ার্স ও রুশো।
খেললেন তারাই। রুশো করলেন আরেকটি ফিফটি, এ মৌসুমে একটি সেঞ্চুরির সঙ্গে যা তার চতুর্থ। এ ইনিংসের পথে এ মৌসুমে ৫০০ রান পূর্ণ হয়ে গেল রুশোর, বিপিএল ইতিহাসে যা প্রথমবার। শেষ পর্যন্ত রাব্বির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করলেন ৪৩ বলে ৫৫, ৫ চার ও ২ ছয়ে। ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়তে তিনি ও রুশো খেলেছেন ৪৩ বল। রুশোর পর পরের ওভারে ফিরলেন ডি ভিলিয়ার্সও, আরাফাত সানির বলে ক্যাচ দিয়ে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ বলে ৩৭ রান করে।
গেইল, হেলস, রুশো, ডি ভিলিয়ার্স- চারজনকেই ফেরাতে পারলো রাজশাহী, তবে দেরি করে ফেললো বড্ড। তার আগে রুশো, ডি ভিলিয়ার্সরা দিয়ে গেলেন রাজশাহীকে একরাশ স্বস্তি।
এর আগে ব্যাটিংয়ে স্বস্তিতে ছিলেন না রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারে নাজমুল ইসলামের দুই ওয়াইডে পাওয়া অতিরিক্ত বলের সুবিধাও করতে পারেননি, ইঙ্গিতটা যেন ছিল সেখানেই। মাশরাফিকে দুই চার মেরেছিলেন জনসন চার্লস, পরের ওভারে ফরহাদ রেজার বলে ক্যাচ দিয়েছেন ওই মাশরাফির হাতেই।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে লরি এভান্স তিন চার মেরেছিলেন নাজমুল ইসলামকে, ৬ ওভার শেষে ৪৯ রান তুললেও রাজশাহী হারিয়েছিল মুমিনুল হকের বলে, নাহিদুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়েছেন এলোমেলো হয়ে যাওয়া মুমিনুল।
৮ম ওভারে কাঁধে চোট নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম, মাত্র ৩ বল করে। তবে শফিউলের অনুপস্থিতির সুবিধাও নিতে পারেনি রাজশাহী। সৌম্য-এভান্সের জুটিতে উঠেছিল ৩৪ রান, শহিদুলের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে সৌম্য ধরা পড়ায় ভেঙেছে সে জুটি। এবারের বিপিএলে এখনও নিজেকে খুঁজে পাওয়া হলো না সৌম্যর।
নিজেদের খুঁজে পায়নি রাজশাহীও। নাজমুলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মিরাজ, আশা হয়ে টিকে থাকা এভান্সও কাট করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পয়েন্টে, ৩১ বলে ২৫ রান করে। নাজমুলকে ছয়ের পর চারে আশা জুগিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ান জঙ্কারও, তবে ফিরতে হয়েছে তাকেও।
এরপর ফজলে রাব্বির ২৪ বলে ১৮ ও কাইস আহমেদের ২০ বলে ২২ রানের ইনিংসে ১৪০ পেরুতে পেরেছিল রাজশাহী, অবশ্য দুজনই গিয়ে আউট হয়েছিলেন ফরহাদ রেজার করা শেষ ওভারে।