খেলা ডেস্ক
চিটাগং ভাইকিংস ১১৬/৮, ১৯ (১৯) ওভার (মোসাদ্দেক ৪৩*, শাহজাদ ৩৩, আফ্রিদি ২/১০, সাইফউদ্দিন ২/২৩, রিয়াজ ২/২৩)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ১১৭/৩, ১৬.৪ ওভার (তামিম ৫৪*, শামসুর ৩৬, আবু জায়েদ ২/২৫)
কুমিল্লা ৭ উইকেটে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতিতে)
বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হলো দেরিতে। এরপর ব্যাটিং নিয়ে যেন পিচ্ছিল পথে হাঁটা শুরু করলো চিটাগং ভাইকিংস। ১৯ ওভারে ১১৬ রানেই গুটিয়ে গেল তারা- শহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ওয়াহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের তোপে। পরে তামিম ইকবালের ফিফটিতে ‘স্বাগতিক’দের হেসেখেলেই হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ৭ উইকেটের জয় নিয়ে রংপুরকে টপকে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চলে এলো কুমিল্লা।
চিটাগং ১০০ পেরিয়েছে মূলত মোসাদ্দেক হোসেনের ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে। মোসাদ্দেক ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর মাত্র দুইজন- মোহাম্মদ শাহজাদ ৩৫ বলে ৩৩, নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৮ বলে ১৩। দুর্দশার শুরুটা হয়েছিল দ্বিতীয় ওভারেই, সাইফউদ্দিনের জোড়া আঘাতে শুন্যতে ফিরেছিলেন সাদমান ইসলাম ও ইন-ফর্ম ইয়াসির আলি। প্রথমজন হয়েছেন এলবিডব্লিউ, দ্বিতীয়জন দিয়েছেন ক্যাচ।
পঞ্চম ওভারে রিয়াজকে গ্লাইড করতে গিয়ে কট-বিহাইন্ড হয়েছেন মুশফিক। ৫ ওভারে ২২ রান তুলতেই চিটাগং হারিয়েছে ২ উইকেট। শাহজাদ টিকে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। তবে গিয়ার বদলানো হয়নি তার আর, মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে হয়েছেন রান-আউট। তার আগেই শহিদ আফ্রিদির বলে ফিরেছেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও সিকান্দার রাজা, মেহেদির বলে লাইনে ধরা পড়েছেন দুই ছয় মারা নাজিবুল্লাহ। আফ্রিদি শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১০ রানে।
১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনকে দুই ছয়ের পর শেষ ওভারে পেরেরাকে দুই চার মেরে চিটাগংকে একটু অক্সিজেন দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। তবে শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি সেটা।
রানতাড়ায় চাপ নেননি এরপর তামিম ইকবাল। ১৩ বলে ৮ রান করে এনামুল ফিরলেও শামসুর রহমানের সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৬৫ রান। মারমুখি ছিলেন শামসুর, আবু জায়েদের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২২ বলে করেছেন ৩৬ রান।
আর তামিম শুরু থেকেই ব্যাটিং করেছেন ‘ক্ল্যাসিক স্টাইলে’। ড্রাইভ করেছেন, স্কয়ার লেগ দিয়ে নাঈমকে ছয়ের পর আরেকটি মেরেছেন সোজা বোলারের ওপর দিয়ে। এদিন একটা মাইলফলকও হয়ে গেছে তার, প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ করেছেন ৫০০০ রান।
আবু জায়েদকে চার মেরে তামিম পূর্ণ করেছেন এবার বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। এরপর ইমরুল কায়েস ফিরলেও কুমিল্লার জয়টা শেষ পর্যন্ত হয়েছে সহজই। তামিম অপরাজিত ছিলেন ৫১ বলে ৫৪ রানে।