নিজস্ব প্রতিবেদক
ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়া ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে শুল্ক ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার মইনুল খানের বিশেষ দল মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে গিয়ে বেশ কিছু স্টলে অনিয়ম দেখতে পায়।
মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের থেকে ভ্যাট আদায় করলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছে না। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান আবার ভ্যাট চালান ছাড়া পণ্য বিক্রি করছে। কোনো কোনো বিক্রেতা যথানিয়মে ভ্যাট পরিশোধ করছেন না। দোষী প্রমাণিত হলে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট আদায় ও জরিমানা হতে পারে।
মইনুল খান বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠানকে বিধিবিধান মেনে ভ্যাট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যারা ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো,কিয়াম মেটাল ইন্ডা. লি, দিল্লি অ্যালুমিনিয়াম, নাভানা ফার্নিচার, নাবিস্কো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড লি., হাজির বিরিয়ানি, স্মার্ট জোন, রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডা., এফজি জুয়েলারি, দেশ কালেকশন, মেসার্স শাহজাহান স্টোর, দ্য পার্ল হাউস, জিসান কালেকশন, কামাল এন্টারপ্রাইজ, নাছির আবেদিন টেডার্স, আশরাফ অ্যান্ড ব্রাদার্স, নিদা ট্রেডিং, গৃহিণী বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব, হাশেম ফুডস লি, মিয়াকো, লাভেলো আইসক্রিম, এস কে বি স্টেইনলেস স্টিল মিলস লি., হাজির বিরিয়ানি অ্যান্ড শাহী কস্তুরি কাবাব, বেঙ্গল মেলামাইন লি, ব্রাদার্স ফার্নিচার লি. ও ফ্যাশন জুয়েলারি।
এবারের বাণিজ্য মেলায় ৫১৮টি স্টল রয়েছে। এ বছর মেলা থেকে ছয় কোটি টাকা ভ্যাট আসার কথা। গত বছর এই খাতে ৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।
ভ্যাট কর্তৃপক্ষের ওই দলে নেতৃত্ব দেন পশ্চিম কমিশনারের উপকমিশনার ফেরদৌসী মাহবুব ও সহকারী কমিশনার জুয়েলা খানম।