নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লায় কয়লার ট্রাকচাপায় নিহত ১৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে নীলফামারী জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল ৮টায় স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন।
এ সময় প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা, ১টি করে কম্বল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়।
এর আগে জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রাজবাড়ি কর্নময়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মৃতদেহগুলো হস্তান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজা উদ দৌলা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুভাশিষ চাকমা, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি আরিফা সুলতানা লাভলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কান্তি ভুষন রায়, শিমুবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান হামিদুল হক জানান, একই স্থান থেকে মীরগঞ্জ ইউনিয়নের মৃতদেহগুলোও হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে শিমুলবাড়ি ও মীরগঞ্জ এলাকায় লাশ নিয়ে আসা হয় কাভার্ড ভ্যানে। এখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নিহতের পরিবার বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
পাশাপাশি দুই ইউনিয়নের ১৩টি তাজা প্রাণ এভাবে শেষ হয়ে যাবে মেনে নিতে পারছেন না কেউ। শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, হতদরিদ্র পরিবার এগুলো। কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানাই, নিহতদের পরিবারের পাশে যেন দাঁড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাহলে উপকৃত হবেন তারা।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইট ভাটায় কয়লা বোঝাই ট্রাকচাপায় নিহত হন ১৩ জন শ্রমিক। তাদের সবার বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায়। নিহতদের মধ্যে শিমুলবাড়ি ইউনিয়নে ৪ জন এবং মীরগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ জন।