খেলা ডেস্ক
খুলনা টাইটানস ১৭০/৯, ২০ ওভার (টেইলর ৪৮, ভিসে ৩৮, কাপালি ৪/২২)
সিলেট সিক্সারস ১৪৯/৭, ২০ ওভার (নওয়াজ ৫৪, আফিফ ২৯, তাইজুল ৩/৩২)
খুলনা ২১ রানে জয়ী
পয়েন্ট টেবিলের শেষ দুই দলের লড়াই, সে লড়াই শেষে হাসি ফুটলো খুলনার মুখেই। খুলনাকে ব্যাটিংয়ের মাঝামাঝি চেপে রাখলেও ডেভিড ভিসের ক্যামিওতে বেশ ভাল একটা সংগ্রহ পেয়েছিল খুলনা। রানতাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে আর পেরুনো হয়নি সিলেটের। নতুন অধিনায়কের অধীনেও জয় পাওয়া হলো না তাদের, আর খুলনা জিতলো নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ। এ ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে চলে গেল সিলেট।
১৭১ রানের লক্ষ্যে লিটন ফিরেছিলেন প্রথম বলেই, অফস্টাম্পের বাইরে থেকে শুভাশীষের বলটা স্টাম্পে ডেকে এনে। শুভাশীষকেই চার-ছয় মেরে সিলেটকে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন সাব্বিরের, তার শেষটা হয়েছে তাইজুলের বলে। ৯ম ওভারে এসে তাইজুল করেছেন জোড়া আঘাত, অলক কাপালির পর ফিরেছেন ২৯ রান করা আফিফ হোসেন।
সিলেটের ভারটা এরপর নেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও নিকোলাস পুরান। বেশ কিছুদূর টেনেছিলেনও, তবে দুজনই ফিরেছেন দারুণ দুই ক্যাচে। এর আগে দুজনের জুটিতে উঠেছে ৮১ রান। ১৬তম ওভারে শুভাশীষকে মারা নওয়াজের দুই ছয়ে বেশ আশাও পেয়েছিল সিলেট। সেটার প্রথম ভাগ শেষ হয়েছে শরিফুলের হাত ধরে। পুরানকে ফিরতে হয়েছে তার সামনে ডাইভ দিয়ে নেওয়া দারুণ ক্যাচে, ভিসের বলে শর্ট মিডউইকেটে। এর আগে পুরান করেছেন ২১ বলে ২৮ রান।
ক্যাচটা প্রথম দফায় ধরলে এতোটা দারুণ দেখাতো না, তবে ছুটে এসে শান্ত মিস করার পরও যেভাবে নিজের ভার সামলে দ্বিতীয় দফায় ধরলেন, সেটা দারুণই। আগের বলেই চার মেরেছিলেন নওয়াজ, এবারও বলের পিচিংয়ে ঠিকঠাক না গিয়েই তুলে মেরেছিলেন। সিলেটের শেষ আশা হয়ে ছিলেন তিনি, তবে ৩৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটা পার করাতে পারলো না তাদের।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন জুনাইদ সিদ্দিক ও ব্রেন্ডন টেইলর। পাওয়ারপ্লেতে উঠলো ৬৭ রান, যার শেষ ওভারে নাসির গুণলেন ১৯ রান। অলক কাপালিতে পথ হারানো শুরু খুলনার, ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং-এজে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন জুনাইদ সিদ্দিক, ২৩ বলে ৩৩ রানে, ৭৩ রানের জুটি ভেঙেছে তাতেই।
কাপালির বলে এরপর স্টাম্পড হয়ে দ্রুত ফিরেছেন আল-আমিন, নওয়াজের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত। উইকেট হারিয়ে নিজের লাগাম টেনে ধরতে হয়েছিল টেইলরকেও, কাপালির বলে লং-অনে ক্যাচ দেওয়ার আগে। ৩১ বলে এর আগে টেইলর করেছেন ৪৮ রান। টেইলরের ২ বল পর ফিরেছেন আরিফুল হকও, রীতিমত কুৎসিত শটে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে। বিপিএলটা আরিফুলের জন্য যাচ্ছে দুঃস্বপ্নের মতো।
সময়টা ভাল যাচ্ছেনা মাহমুদউল্লাহরও। বাজে শট খেলার চেষ্টায় আউট হয়েছেন তিনিও, কাপালির বলেই স্টাম্পড হয়ে। ডেভিড ভিসে এরপর খুলনাকে দিয়েছেন খানিকটা অক্সিজেন, তাসকিনের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৫ বলে করেছেন ৩৮ রান। শেষ ৪ ওভারে খুলনা তুলেছে ৪১ রান।
শেষ পর্যন্ত ‘শেষ’ দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিল সেটাই।