নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কখনোই ভাববেন না, আমরা পরাজিত হয়েছি। বরং পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারা দেশে ৯৮ হাজার মিথ্যা মামলায় ২৬ লাখ আসামি, দলের কেউ বাদ পড়েনি। তাই দেশকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে জানে। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেয় না। যারা ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রকে লুট করেছে, মা-বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর ছাড়া করেছে তাদের ক্ষমা করা করা যাবে না।’
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্রসহ অন্যরা বক্তব্য দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরাজয় হয়েছে। আমাদের সব কিছু রাতের অন্ধকারে ডাকাতরা কেড়ে নিয়ে গেছে। আমাদের সমস্ত চিন্তা-ভাবনা কেড়ে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত ছিল, সেটিকেও নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখন আমাদের দায়িত্ব গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা।
একটি স্বাধীন দেশের প্রশাসন এমন হতে পারে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ হলে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো মতেই জিতে আসা সম্ভব নয়। এদের জনগণের ওপর আস্থাও নাই ভরসাও নাই।’