খেলা ডেস্ক
৬৪ মিনিটে যখন বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি, ম্যাচে তখন ১-১ এ সমতা। প্রথমার্ধের হতাশা ভুলে লেগানেসও তখন বারবার আক্রমণ করে বার্সেলোনা রক্ষণভাগকে চাপে রেখেছে। মাঠে নামার সাত মিনিটের মাঝেই লিওনেল মেসির অ্যাসিস্টে বার্সাকে এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সেই মেসিই। মেসি, সুয়ারেজ ও উসমান ডেম্বেলের গোলে ক্যাম্প ন্যুতে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সাথে পাঁচ পয়েন্টের লিডটা ধরে রাখল বার্সেলোনা।
ম্যাচের প্রথমার্ধটা ছিল ডেম্বেলেময়। তার দুর্দান্ত গতি, চোখ ধাঁধানো পাসে লেগানেস রক্ষণভাগ পুরোটা সময়ই ছিল ব্যস্ত। ২৪ মিনিটে সুয়ারেজের শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বার্সার। তিন মিনিট পর তার শট ঠেকিয়ে দেন লেগানেস কিপার। ৩১ মিনিটে ডেম্বেলের দারুণ এক থ্রু বলে আবার সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেজ। পরের মিনিটেই অবশ্য বার্সাকে লিড এনে দেন ডেম্বেলে। জর্দি আলবার পাসে বল পেয়ে ডেম্বেলের ডান পায়ের শট কিপারকে বোকা বানায় অনায়াসেই। বিরতির ঠিক আগে ডেম্বেলের পাসে বল পেয়ে লিড দ্বিগুণ করতে পারতেন ফিলিপ কৌতিনহো, তার শট পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে সেটা হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরে লেগানেস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ সাজিয়েছে তাঁরা। সেটার ফলাফল হিসেবেই ৫৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান মার্টিন ব্রাথওয়েট, বক্সের ভেতর বল পেয়ে তার ডান পায়ের জোরালো শট টের স্টেগেনকে পরাস্ত করে। ৬১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত লেগানেস, অস্কার রদ্রিগেজের শট ঠেকিয়ে দেন স্টেগেন।
৬৪ মিনিটে মাঠে নামেন মেসি, ৭১ মিনিটে পেয়েছিলেন ফ্রি কিক। বক্সের একটু বাইরে থেকে নেওয়া তার দারুণ ফ্রি কিকটি ঠেকিয়ে দেন সেলার। সেই ঠেকিয়ে দেওয়া বল পেয়েই বার্সাকে এগিয়ে দেন সুয়ারেজ। সাত মিনিট পর আবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। এর মাঝে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে হয় ডেম্বেলেকে।
এগিয়ে গিয়েও লেগানেসের ফরোয়ার্ডদের আক্রমণের কারণে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না বার্সা। তাদের স্বস্তি এনে দিয়ে ম্যাচের ৯২ মিনিটে গোল করেন মেসি। আলবার সাথে বক্সের ভেতর দারুণ বোঝাপড়ায় বল পেয়ে মেসির ডান পায়ের শট জালে জড়ালে জয় নিশ্চিত হয় বার্সার। এই জয়ে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল বার্সা। সমান ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।