নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৩ ভাগ এবং এ মাসের শেষ সপ্তাহে জাজিরা প্রান্তে আরও একটি স্প্যান স্থাপন করা হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ রোববার বনানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে ট্যানেল বোরিং মেশিনের (টিএমবি) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্ণফুলী টানেলের খনন কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।
ওবায়দুল কাদের জানান, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর অগ্রগতি শতকরা ৭৩ ভাগ, নদীশাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৫০ ভাগ। পদ্মা সেতুর মোট ২৬১ টি পাইলের মধ্যে ১৯১টি পাইলের কাজ সম্পাদিত এবং আরও ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পিলারের কাজ চলমান রয়েছে। মোট স্প্যান ৪১টি, ইতিমধ্যে ৬টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এ ছাড়া ১৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। আরও ১৮টি স্প্যানের প্রস্তুতি কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
কাদের বলেন, ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেন বিশিষ্ট কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। খনন কাজের জন্য চীন থেকে সংগৃহীত ট্যানেল বোরিং মেশিনটির পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্ণফুলী ট্যানেলের খনন কাজ শুরু হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩০ ভাগ। ২০২২ সালে ট্যানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, যমুনা নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি এ ব্যাপারে পিইসি আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজ এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৯টি পাইল, ২৭০টি পাইল ক্যাপ, ৫৬টি ক্রস-বিম, কলাম ১৫৭ (সম্পূর্ণ) ও ৮২টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান রয়েছে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড। র্যামসহ এর সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এক্সপ্রেসওয়েটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে মিলিত হবে। প্রকল্পটি ৩টি ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপ- শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, দ্বিতীয় ধাপ বনানী থেকে বড় মগবাজার, তৃতীয় ধাপ বড় মগবাজার থেকে কুতুবখালী।
এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও সেতু বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।