ইরানের পার্লামেন্টে এবং আয়াতুল্লাহ আল খোমেনির মাজারে পৃথক বন্দুক ও আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে চালানো এসব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, হামলাকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে চারজনকে জিম্মি করে রেখেছে। বন্দুকধারীদের হামলায় সাতজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো সুনিশ্চিত সূত্রের বরাত দিতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি।
এমপি ইলিয়াস হাজরাতি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সংখ্যায় তিনজন ছিল। ‘তিন হামলাকারীর মধ্যে দুজনের হাতে কলাশনিকভ রাইফেল এবং একজনের হাতে কোল্ট পিস্তল রয়েছে’ বলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ঘিরে রেখেছে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংবাদিক ঘটনাস্থল থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন আমি পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ছিলাম। প্রত্যেকেই আতঙ্কিত ও ভীত ছিল। দুই ব্যক্তিকে আমি নির্বিচারে গুলি ছুড়তে দেখেছি।’
এদিকে এই হামলার আধা ঘন্টা পরেই আধুনিক ইরানের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে এক বন্দুকধারী গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে প্রেস টিভি জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, গুলি ছোঁড়ার পর হামলাকারী আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ