২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:১২

৫০ ভাগ সুষ্ঠু ভোট হলেই আমরা জয়ী হব: রেজা কিবরিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট:

‘আমি জানি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তবে এটাও জানি, ৫০ ভাগ সুষ্ঠু হলেই আমি পাস করব। নগ্ন কারচুপি করেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়।’

কথাগুলো হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়ার।

হামলা-ধর পাকড় যাই হোক ভোট থেকে সরে দাঁড়াবেন না জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, যতই বাধা আসুক, আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব না। নির্যাতন-নিপীড়নে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হচ্ছে। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

সরকার কিছুতেই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না উল্লেখ করে শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বলেন, সরকার বলুক, আমরা ভোট ছাড়া নির্বাচন চাই, বাংলাদেশে একটি পোষা বিরোধী দল হবে, আমাদের বলুক। সরকার আমাদের বলুক যে বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক বিরোধী দল চাই না।

বুধবার বিকালে নবীগঞ্জ উপজেলার জালালসাপ আদর্শ গ্রামে রেজা কিবরিয়ার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তারপর রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।

হামলার বর্ননা দিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। বিকাল ৫টায় একদল পুলিশ আমার বাসায় কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই হঠাৎ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার বাসার গেটের তালা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। এ সময় পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে আমাদের মালামাল তছনছ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রামবাসী খবর পেয়ে শত শত লোক আসলে পুলিশ চলে যায়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, সন্ধ্যায় আমি আমার নির্বাচনী এলাকা হাওর অঞ্চল কাজির বাজার নামক স্থানে আসলে আমার গাড়ি গতিরোধ করে পোশাকধারী ও পোশাকছাড়া পুলিশ। এ সময় তারা আমার গাড়িবহর থেকে ৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। বাকিদের কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আমার কোনো প্রচারণা করতে দেবে না- এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, আমি বিষয়টি পুলিশের ডিআইজি সিলেটসহ নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। সরকারকে নির্বাচন কমিশন বলুক আমরা ভোট ছাড়া নির্বাচন চাই, বাংলাদেশে একটি পোষা বিরোধী দল হবে আমাদেরকে বলুক। সরকার আমাদেরকে বলুক যে, বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক বিরোধী দল চাই না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ সুমনের ওপর গত ১৯ ডিসেম্বর স্থানীয় বান্দেরবাজার এলাকায় রেজা কিবরিয়ার সমর্থকরা হামলা করে।

এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফু রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অবস্থান করছেন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮ ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ