২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:০৫

হামলা আওয়ামী লীগের প্রচার ক্যাম্পে, প্রতিবাদ-নিন্দা জামায়াতের

রাজধানীর মিরপুরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির ফ্রেম ভাঙচুরের অভিযোগ করে দলটি। অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যদিও হামলায় আওয়ামী লীগের সন্দেহের তীর জামায়াতের দিকেই।

বুধবার জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের মিডিয়া সমন্বয়ক মু. আতাউর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বলা হয়, ‘গত মঙ্গলবার ঢাকা-১৫ আসনের মোল্লাপাড়ার আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মিরপুর-কাফরুলে ধাষের শীষের প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমান।

ডা. শফিকুর রহমান বিবৃতিতে বলেন, এই ধরনের হামলা একটি কাপুরুষোচিত কাজ। একটি বিশেষ মহল নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। নির্বাচনী পরিবেশকে স্থিতিশীল করতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে সর্বত্র শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তিনি ইসি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।

অন্যদিকে ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের সন্দেহ হামলায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী জড়িত থাকতে পারে।

হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১০ জনের নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দাদন ফকির বলেন, হামলার ঘটনায় একটি নাশকতার মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হারুন একজন শ্রমিক নেতা, তিনি নিজেও আহত হন। এতে ১০ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল মজুমদারের মিরপুরের ৬০ ফুট সড়ক সংলগ্ন মোল্লাপাড়ার নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে হামলা, বিস্ফোরণ, গুলি ও ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সেদিন কয়েকটি গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। হামলায় ওয়ার্ডের শ্রমিক নেতা হারুন উর রশিদ আহত হন। তিনি বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে এই আসনে লড়ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮ ৬:০২ অপরাহ্ণ