২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:২১

‘ইয়ুথ পার্লামেন্ট’ গঠনের প্রতিশ্রুতি বিএনপির

তরুণদের স্বার্থ রক্ষার্থে ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। দুপুরে গুলশানে হোটেল লেকশোরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘ইয়ুথ পার্লামেন্ট’ বা যুব সংসদ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত তরুণদের নিয়ে গঠিত হয়। নির্বাচিত তরুণরা সরকার ও সেবা সংস্থার কাজে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করেন। বিশ্বের কিছু দেশে যুব সংসদ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের যুব সংসদে নির্বাচিত সদস্য সংস্থা ৩৬৯ জন।

ইশতেহারে ‘যুব, নারী ও শিশু’ অংশে বলা হয়

১. জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
২. ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ‘ইয়ুথ পার্লামেন্ট’ গঠন করা হবে।
৩. দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিএনপি সকল কর্মকাণ্ডে নারী সমাজকে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সকল বাধা অপসারণ করা হবে।
৪. ক্রীড়াক্ষেত্রে নারীদের উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে।
৫. নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, এসিড নিক্ষেপ, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ, নারী ও শিশু পাচাররোধে কঠোর কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিশুশ্রম রোধে কার্যকর বাস্তবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৬. শিশুসন্তান রেখে নারীরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজে মনোনিবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৭. নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন, স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ এবং কর-ছাড় দেয়া হবে।
৮. ১ বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
৯. নারীদেরকে ন্যায়সঙ্গত সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রদান করা হবে। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিদ্যমান আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।

ইশতেহারে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ অংশে বলা হয়েছে

১. সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।
২. দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ