একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে পরবর্তী ৫ বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে বুলেট ট্রেন (দ্রুতগামী ট্রেন) চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে দলের ইশতেহার পড়ে শোনান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি ক্ষমতায় গেলে যোগাযোগ খাতে তার লক্ষ্য ও পরিকল্পনাগুলো ইশতেহার তুলে ধরেন।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় গেলে প্রথমে ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালু হবে। এই ট্রেনে মাত্র এক ঘণ্টায় চট্টগ্রামে পৌঁছানো যাবে। চট্টগ্রামের পর পর্যায়ক্রমে বুলেট ট্রেন সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা এবং কলকাতা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। এ ছড়া মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৬ হাজার ৩৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার বিস্তৃত ঢাকা পূর্ব-পশ্চিম এলিভেটেড হাইওয়ে নির্মাণ করা হবে।
বিমান পরিবহন খাতের বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে- রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিমানবন্দরকে উন্নত করা হবে। ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, নতুন রাডার স্থাপন ও জেট ফুয়েল সরবরাহ করার জন্য পাইপলাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এবছরের আলোচিত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, নিরাপদ সড়কের জন্য লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ফিটনেসবিহীন গাড়িকে পারমিট না দেয়া, চালকদের লাইসেন্স প্রদানে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা, সড়ক ও মহাসড়কগুলোকে ক্রমে সিসিটিভি-র আওতায় আনা এবং জনসাধারণকে সচেতন করা প্রভৃতি ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হবে।
ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে, বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল এবং বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক জোটের যোগাযোগ-ব্যবস্থার সাথে সংযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার আশ্বাস দিয়েছে আওয়ামী লীগ।