২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৩৫

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচন আজ

জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আজ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ক্লাব প্রাঙ্গণে ভোট গ্রহণ করা হবে।

নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭টি পদে ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার ১ হাজার ২১২ জন। এবারের নির্বাচনে ক্লাবের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে সাইফুল-ফরিদা এবং শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে শওকত-ইলিয়াস নামে দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এছাড়াও প্যানেলের বাইরে ১০ জন বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যারা ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হবে তারাই আগামী ২ বছর জাতীয় প্রেস ক্লাবের নেতৃত্ব দেবে।

নির্বাচন উপলক্ষে প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীরকে চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- মো. মোস্তফা-ই- জামিল, এসএএম শওকত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও উদয় হাকিম।

এদিকে সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২২তম দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক, ক্লাবের স্থায়ী ও সহযোগী সদস্যরা। সভায় সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও কোষাধ্যক্ষ কার্তিক চ্যাটার্জি পৃথক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে ক্লাব সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে তা পাস হয়।

সভাপতির বক্তব্যে শফিকুর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে কুক্ষিগত প্রেস ক্লাবকে উদ্ধার করতে আন্দোলন করে আসছি। ২০০৫ সাল থেকে ক্লাবের জমি সরকারের হাতে চলে যায়। যেটি আবার উদ্ধার করেছি। কুক্ষিগত এ ক্লাব উদ্ধারসহ উন্নয়নে আমি নিজ থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছি।

আমাদের সবার জন্য। আজ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ক্লাবের জমিতে ৩১ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এজন্য ক্লাবের জমির লিজ বরাদ্দ নিয়ে যে জটিলতা ছিল, তা নিরসন করা হয়েছে। আশা করছি, নতুন নির্বাচিত কমিটি ক্লাব সদস্যদের স্বপ্নের মিডিয়া কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ শুরু করে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স’ নির্মাণসহ বিদ্যমান ভবনের সংস্কারকাজে সর্বাÍক সহযোগিতা করছেন বলেও জানান তিনি।

ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রতিবেদনে বলেন, ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ২৯২। এর মধ্যে স্থায়ী ১ হাজার ২২১ ও সহযোগী সদস্য ৭১ জন। নির্বাচনের পর নতুন সদস্য পদ দেয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

চলতি বছর সামাজিক সমাবেশ (হাউজি) খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৮ টাকা। যা গত বছর ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ১১ হাজার ৫২৬ টাকা। তবে ৪ দিন হাউজি বন্ধ না হলে আয় আরও বাড়ত।

এ বছর নিট আয় হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৪ টাকা। সদস্য চাঁদা পাওয়া গেছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮০ টাকা। তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবের ৪টি রুমের নাম হবে ৪ সাংবাদিকের নামে। এখানে খেলাধুলা ও জিমনেশিয়াম হচ্ছে। অনেক সরঞ্জাম ইতিমধ্যে চলে এসেছে। সব সাংবাদিকের ডাটাবেস হয়েছে। তাদের ইন্স্যুরেন্সের কাজও শিগগিরই শুরু হবে।

সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, যখন আমরা ফরিদা আপাকে নির্বাচিত করি, তখন ভাবছিলাম কিভাবে চলবে। বিমান কোন দিকে যাবে। আজ তিনি বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। ক্লাবের আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছেন।

সাধারণ সভায় প্রেস ক্লাবের সদস্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক, সাইফুল ইসলাম, তরুণ তপন চক্রবর্তী, শুক্কুর আলী শুভ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ