২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:২১

তিন হাফ সেঞ্চুরিতে সুবিধাজনক অবস্থানে শ্রীলঙ্কা

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ম্যাচ। সেখানে কিউই পেসারদের তোপ সামলে ভালো করা চাট্টিখানি কথা নয়। বিশ্বের যে কোনো দেশই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে নাকানি-চুবানি খেয়ে আসে। সে তুলনায়, নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ৯ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ২৭৫ রান করতে পারার পর সুবিধাজনক অবস্থানে বললে সম্ভবত খুব বেশি ভুল বলা হবে না।

ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং নেইল ওয়াগনার- এই চতুষ্টয়ের তাগুনে গোলা উপেক্ষা করে তিনটি বড় বড় হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে দিন শেষে লঙ্কানদের অলআউট লিখতে হয়নি। বরং, দ্বিতীয় দিন সকালে খানিক্ষণের জন্য হলেও ব্যাট করতে নামবে দিনেশ চান্ডিমালের দল।

বেসিন রিজার্ভ যে পুরোপুরি পেস বান্ধব, সেটা টস জিতে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া দেখেই বোঝা যায়। যে কারণে দেখা গেলো, টস হেরে ব্যাট করতে নামা লঙ্কান ইনিংসের শুরুতেই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন টিম সাউদি।

একাই এই পেসারের তোপের মুখে মাত্র ৯ রানে তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দানুসকা গুনাথিলাকা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যখন ধুঁকতে শুরু করে লঙ্কানরা, তখন তাদের জন্য ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন দিমুথ করুনারত্নে এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।

এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ঘাড়ে চেপে প্রাথমিক বিপর্যয় শুধু সামালই দেয়নি শ্রীলঙ্কা, স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে দারুণ চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছিল। ১৩৩ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়ে তোলেন তারা দু’জন। ৯ থেকে ১৪২, অতঃপর বিচ্ছিন্ন হন তারা দু’জন। এ সময় নেইল ওয়াগনারের বলে উইকেটের পেছনে বিজে ওয়াটলিংয়ের হাতে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। ১৪৪ বল মোকাবেলায় ৭৯ রান করে আউট হন তিনি। ইনিংসটি সাজিয়ে যান ১১টি বাউন্ডারি দিয়ে।

করুনারত্নেকে হারিয়ে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলছিল। কারণ, ৩৪ বল মোকাবেলা করে মাত্র ৬ রানে আউট হয়ে যান অধিনায়ক চান্ডিমাল। টিম সাউদির পকেটেই যায় এই উইকেট।

এর কিছুক্ষণ পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজও বিদায় নিয়ে নেন। ১৫৩ বল খেলে ৮৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কার মারও ছিল তার ইনিংসে। এই উইকেটটাও নিলেন সাউদি। তবে শেষের দিকে ছোট ছোট জুটি গড়লেও ঝড়ো ব্যাটিং করেন নিরোশান ডিকভেলা। মাত্র ৯১ বল মোকাবেলা করে ৭৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কার আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে রয়েছেন তাই নিরোশান ডিকভেলা। তার সঙ্গে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামবেন লাহিরু কুমারা। একাই টিম সাউদি আগুন ঝরান শ্রীলঙ্কা শিবিরে। টপ অর্ডারে ধ্বস নামানোর পাশাপাশি মোট ৫ উইকেট নেন টিম সাউদি। ২ উইকেট নেন নেইল ওয়াগনার। ট্রেন্ট বোল্ট এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম নেন ১টি করে উইকেট।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮ ৩:৩০ অপরাহ্ণ