নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলার ভেলুমিয়া বাজারের ডোসখালী ও গাজীর চর খালটি দখলের প্রতিযোগিতা নেমেছে প্রভাবশালীরা। খালের মাঝে বাঁধ দিয়ে স্রোত বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেলুমিয়া বাজারের ডোসখালী ও গাজীর চর খালের ভেতরে আর সিসি পিলার করে দুই তলা ঘর নির্মাণ করেছেন, চন্দ প্রসাদ কো-অপারেটিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল হাফেজ আকন, একই বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক হান্নান ও মাইনুল মাস্টার।
তাদের অনুস্মরণ করে খাল দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন মোস্তফা কারিগর, মোবারক গাজী, সিরাজ মাস্টার, লোকমান কারিগর, তোফাজ্জল হোসেন, সামছুদ্দিন, আবু ডাক্তার, জগদিস সুতা ও হাফেজ মাল প্রমুখ ব্যবসায়ী।
একই এলাকার হারুণ মোল্লা বলেন, এই খাল দিয়ে বরিশাল থেকে বিভিন্ন মালামল নৌকায় করে ভেলুমিয়া বাজারে আনা হত। গত কয়েক বছর ধরে প্রভাবশালীরা যে যার মতো করে খালটি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে খালটির ঐতিহ্য নষ্ট করে ফেলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার বলেন, এই খালের আশেপাশে প্রায় ১০ হাজার মানুষ বসবাস করে। তারা গোসলসহ বিভিন্ন কাজে খালের পানি ব্যবহার করতেন। খালটির মাঝে বাঁধ দিয়ে স্রোত বন্ধ করে ঘর তৈরি করায় এখন আর জোয়ারের পানি আসতে পারছে না। ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে খালের পানি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এখন আর এই পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাজারের ভেতর খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছে ৬ মাস আগে। ব্রিজ নির্মাণের তিন মাস চলে গেলেও শিক্ষক মাইনুল ইসলাম খালের বাঁধ আটকিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ ঘর ব্রিজ নির্মাণের আগেই তোলা হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানের পাশে ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। জুনে কাজ শুরু হলে খালের বাঁধ খুলে দেওয়া হবে।
এব্যাপরে ভেলুমিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সালাম মাস্টার বলেন, খালটি তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। কারা কিভাবে দখল করেছেন, এই বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
তিনি আরো জানান, স্রোত বন্ধ হওয়ার কারণে খালটি এখন কাজে আসছে না। সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণের কাজ শুরু হলে খালের স্কুল কর্তৃপক্ষ বাঁধ খুলে দিবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ