২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:০৪

থাইল্যান্ডের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো এখন থেকে স্বাধীনভাবে তাদের দলের প্রচারণা করতে পারবে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশটিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

চার বছর আগে দেশজুড়ে তৎকালীন নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের ঘটনায় থাইল্যান্ডের ক্ষমতা গ্রহন করে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার ফলে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচার-প্রচারণায় যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বরাবরই দেশে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সামরিক সরকার। কিন্তু বার বারই নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিহু থাই পার্টিকে জোর করে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতা গ্রহণের পর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে রাজনৈতিক তৎপরতার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জান্তা সরকার।

পরবর্তীতে তারা নতুন সংবিধান তৈরি করে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনে। ২০১৭ সালে এক গণভোটে নতুন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পক্ষে ভোট দেয় দেশটির সাধারণ নাগরিকরা।

নতুন সংবিধানের ফলে এটা নিশ্চিত করা হয় যে, নির্বাচনের পরেও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে সেনাবাহিনী। তারা সিনেটে প্রার্থী নিয়োগ করতে পারবে যার মাধ্যমে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ সহজ হবে।

সেনাবাহিনী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং পাঁচজনের বেশি লোক একত্র হওয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা আনায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয় এবং কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করা হয়।

তবে মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জানানো হয় যে, এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে। থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের বিশাল ইতিহাস রয়েছে সেনাবাহিনীর।

১৯৩২ সালের পর এ পর্যন্ত ১২ বার তার গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সামরিক বাহিনী। ইতোমধ্যেই তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা পরবর্তীতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু তারপরেও বেশ কয়েকবার নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে।

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১১, ২০১৮ ৪:০০ অপরাহ্ণ