আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে একটা সাধারণ প্রবণতা হলো, শরীরের কোনো অস্বাভাবিক আচরণকে প্রাথমিকভাবে পাত্তা না দেওয়া। তারপর যখন সেই অস্বাভাবিকতা বেড়ে গিয়ে রোগের সৃষ্টি করে, তখন সবাই ছোটে ডাক্তারের কাছে। কিন্তু শরীরের অসুখ বাসা বাঁধলে তাকে নির্মূলের সহজতম উপায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা। প্রতিদিন কিছু বিষয়ে নজর রাখলেই বেশ কিছু অসুখের প্রাথমিক অবস্থাতেই সতর্ক হওয়া যায়। যেমন প্রস্রাবের রং।
► বার বার প্রস্রাব পাওয়াকে অনেকেই ডায়াবেটিসের লক্ষণ বলে জানেন। অনেকেরই রাতে ঘুম ভেঙে যায় প্রস্রাবের কারণে। তবে কেবল ডায়াবেটিসই নয়, কিডনির যে কোনো সমস্যার প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে এটি। তাই এমনটা হলেই তাকে শুধুই ডায়াবেটিসের লক্ষণ ভেবে বসবেন না। বরং প্রথমেই যে কোনো কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
► প্রস্রাবের রংয়ের উপর নির্ভর করে অনেক রোগের উপসর্গ। লিকার চায়ের মতো গাঢ় বাদামি রঙের প্রস্রাব হলে সেটা রেনাল ফেলিওরের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে। তাই সচেতন হোন।
► প্রস্রাব হলুদ হলে আমরা ধরেই নিই শরীরে পানির অভাব ঘটেছে। তা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক। এমন হলে নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত পানি খান সারাদিন। কিন্তু তাতেও সমস্যা না মিটলে কয়েকদিন অপেক্ষা করুন। দুই দিন টানা এমন ঘটতে থাকলে আর সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যান। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমনটা হয়ে থাকে।
► প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হলে ডাক্তারের কাছে যেতে একেবারেই দেরি করবেন না। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমন রক্তপাত হয়। কাজেই সাবধান হয়ে যান প্রথম থেকেই।
► প্রস্রাব অস্বচ্ছ? বিয়ারের মতো ফেনা ভাসতে থাকে? শরীরের প্রয়োজন বুঝে পানি খান। তাতেও এই সমস্যা না মিটলে বুঝবেন কিডনির কোনো সমস্যার উপসর্গ এটি। কাজেই দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।