চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় সারাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমরা তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসন ও তাবলিগের সাথীদের করণীয় সম্পর্কে ৭ সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়েছে।
আজ সকাল ১১টায় হাটহাজারী মাদরাসার সেমিনার হলে এ বৈঠক শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় তা শেষ হয়। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে সারাদেশের শীর্ষ আলেমসহ তাবলিগের মুরব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে গৃহীত আলেম-ওলামা ও তাবলিগের মুরব্বিদের ৭ সিদ্ধান্ত-
> পহেলা ডিসেম্বর শনিবার টঙ্গি ময়দানে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওয়াসিফুল ইসলাম, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও ইউনুস সিকদার এবং তাদের অনুসারীদেরকে কাকরাইল মসজিদে ঢুকতে না দেয়ার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
> সরকারের সাথে পরামর্শকৃত বিশ্ব ইজতেমার নির্ধারিত তারিখ ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০১৯ (প্রথম পর্ব) এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি (দ্বিতীয় পর্ব) এখনি চূড়ান্ত করে ইজতেমার জন্যে ময়দান তৈরির করার সুযোগ দিতে হবে।
> জনাব সাদ এবং তাঁর বাংলাদেশি অনুসারী এতাআতি দলের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ওলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ ফাতাওয়া তৈরি করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা।
> দাওয়াত ও তাবলিগে সৃষ্ট সঙ্কটের ওজাহাত এবং টঙ্গি ময়দানের ঘটনার বিবরণ ও বাস্তবচিত্র তুলে ধরা এবং তা অব্যাহত রাখা।
> প্রত্যেক এলাকায় উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের সাথীরা সমন্বিতভাবে বেশির থেকে বেশি জামাত বের করার ফিকির করা এবং নামাজ ও দোয়ার ইহতেমাম করা।
> সাদ পন্থীরা নিজেদেরকে এতাআতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। সুতরাং যারা এতাআতে থেকে টঙ্গি ময়দানে বর্বর হামলা চালিয়েছে- তা উদঘাটন করতঃ তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা।
> আগামী সাতদিনের মধ্যে সরকারের কাছে পেশ করা দাবীসমূহ পূরণ না হলে পরবর্তীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আগত যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন- মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা মুহাম্মদ জোবাইর, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা আব্দুল বাছির, মাওলানা মুবারক উল্লাহ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) মাওলানা নুরুল হুদা ফয়জী, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা উমর ফারুক, মুফতি জসিমুদ্দীন, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জোবাইর আহমদ চৌধুরী ও মুফতি নুরুল আমিন।
এ ছাড়াও হাটহাজারী মাদরাসার এ বৈঠকে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মজলিসে আমেলা (নির্বাহী কমিটি), মজলিসে খাস, সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়ার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কান্না বিজড়িত হেদায়েতি বয়ান ও দোয়ার মাধ্যমে সম্মেলন সমাপ্ত হয়।