আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রতিবাদে তাদের চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের অপদস্থ করা হয়েছে এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে দেখা গেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভুত ও অগণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত হয়েছে এবং ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য সংঘটিত হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের অভিযোগ অনুযায়ী পলাতক তারেক রহমান, এই মনোনয়ন বাণিজ্য চালিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
নানক বলেন, বিএনপি এবং জামায়াত নাশকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোনো অর্জন তাদের নেই। তারা ক্ষমতা থাকতেও দেশের কল্যাণ, অগ্রগতিতে কোনো ভূমিকা রাখেনি। বরং দেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল এবং বিরোধীদলে থেকে নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশের শত শত নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছে। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো তাদের কোনো নৈতিক ও যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তাই নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা ষড়যন্ত্রের পথে, চক্রান্তের মাধ্যমে, নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ ধরে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তাদের ভাওতাবাজির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বর্ণচোরা রি রাজনীতিবিদরা জনগণের রায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে যাত্রা শুরু করবেন। প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এই বক্তৃতা শেষ করে আবার দুপুরেই কোটালীপাড়ায় এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার মধ্যে দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী , উপদপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।