শরীরে ব্যথা হলেই পেইনকিলার খেয়ে নেয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। কখনো তা ডাক্তারের পরামর্শে, কখনোবা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই! কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পেইনকিলার খেলে শেষেপর্যন্ত বিপদে পড়তে হতে পারে আপনাকেই! কারণ অনেকসময় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তাই ভরসা রাখতে পারেন প্রাকৃতিক পেইনকিলারে। আর যা কিনা রয়েছে আপনার রান্নাঘরেই-
পুদিনা পাতা: মাসলের ব্যথা, দাঁতে ব্যথা, মাথায় ব্যথা, নার্ভে ব্যথা হলে পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খান। এতে হজমশক্তি বাড়বে। ব্যথার বোধটা খুব বেশি ভোগাবে না। হালকা গরম পানিতে ১০-১২ ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল দিয়ে গোসল করে ঘুমাতে যান রাতে, পার্থক্যটা কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন।
দই: পেটে ব্যথা, পেট ফুলে থাকা বা বদহজম সারাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বাড়িতে পাতা সাদা দই। এর মধ্যে উপস্থিত প্রোবায়োটিক আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে দুইবার দুই বাটি দই খেলেই দেখবেন অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে।
আদা: মাসলের ব্যথা, আর্থারাইটিস, পেটের ব্যথা, বুকের ব্যথা আর পিরিয়ডের ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে আদা। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে আদা চা খেতে পারেন। কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, গলা ব্যথা সারাতেও মন্ত্রের মতো কাজ করে আদা, শ্বাস নিতে সমস্যা হলেও আদা চা খুব ভালো কাজে দেয়।
রসুন: দাঁতে ব্যথা, কানে ব্যথা, আর্থারাইটিস সারাতে দারুণ কাজে দেয় রসুন। কাঁচা রসুন খাওয়া সবচেয়ে ভালো, কারণ রান্নায় এর ঔষধি গুণ নষ্ট হয়ে যায়। দাঁতে ব্যথা হলে রসুন ছেঁচে সামান্য লবণ দিয়ে লাগান, আরাম পাবেন। জয়েন্টের ব্যথা সারাতে রসুন তেলও খুব কার্যকর ভূমিকা নেয়।
হলুদ: হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন ক্রনিক ব্যথা সারাতে কার্যকর। কোনো পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বকে চুলকানি, জ্বালাভাব হলে হলুদ আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে লাগালে আরাম পাবেন।
লবঙ্গ: মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যরক্ষায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে লবঙ্গের তেল। দাঁতে ব্যথা হলে কোনো ওষুধ লাগানোর আগে লবঙ্গের তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। লবঙ্গ চিবিয়েও খেতে পারেন।