শীতে ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সচেতন হতে হয়। নয়তো মলিন আর রুক্ষ ত্বক আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে বলে সহজেই আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই এসময় ত্বকের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি কিছু কাজ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে-
অতিরিক্ত গরম পানিতে বেশিক্ষণ ধরে গোসল করবেন না,তাতে ত্বকের আর্দ্রতা ক্রমশ হারাতে থাকে।
গোসলের আগে অয়েল মাসাজ করলেও গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তা না হলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কমবে না। ত্বক অল্প ভেজা থাকা অবস্থায়ই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
খুব কড়া সাবান আপনার ত্বকের শুষ্কতা কেড়ে নেবে। হালকা কোনো সাবান বা সোপ ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করুন। বেসন, মসুর ডাল বাটা, চালের গুঁড়া ইত্যাদি দিয়ে ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। ক্লিনজার বা স্ক্রাবার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
অ্যালকোহলযুক্ত টোনার বা যেকোনো স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট এড়িয়ে চলুন। এগুলো ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতার ভাড়ারে টান পড়ে।মিনারেল অয়েল, কৃত্রিম রং বা সুগন্ধিযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
অহেতুক রোদ লাগাবেন না ত্বকে, বিশেষ করে সকাল নয়টার পর। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ছাতা, টুপি, সানগ্লাসও রোদের হাত থেকে আপনাকে বাঁচাবে। লিপ বাম কেনার সময়েও এমন কিছু কিনুন যার মধ্যে এসপিএফ আছে।
পরিবর্তন আনুন খাদ্যতালিকায়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন সি, আর ম্যাগনেশিয়াম যেন থাকে খাদ্যতালিকায়। তা না হলেই মুষড়ে পড়বে আপনার ত্বক। মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসি, ফল, শাকসবজি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। খুব তেলমশলাদার বা ভাজাভুজিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।