২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:২৮

প্রতীক পেলেই প্রচার শুরু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ থেকে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই প্রচার-প্রচারণা। প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট ও বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের বিপরীতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপরই প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করবেন। আর এ প্রচারণার মধ্য দিয়েই শুরু হবে নির্বাচনের মাঠের লড়াই। গ্রাম থেকে শহর, গলি থেকে রাজপথ মুখর হয়ে উঠবে নির্বাচনী উৎসব-আমেজে।

বিভিন্ন দলের প্রার্থী-সমর্থকরা এতদিন মতবিনিময় ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতি চালালেও আজ প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ব্যানার পোস্টার লিফলেট হ্যান্ডবিল মাইকিং করে চালাতে পারবেন প্রচারণা। তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থীরা। সেই প্রতীক্ষার ক্ষণ শেষ হচ্ছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।

গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর নানা ধাপ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত আজ চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রার্থীরা।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল বিএনপির ছয়জনসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১২৭ জন। তবে এখানে বেশ কয়েকটি আসনে এখনও বিএনপির একাধিক প্রার্থী রয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম-১, ২, ৩, ৭, ৮ ৯ এবং ১২ নং আসন। তবে আজ প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা দলীয় প্রতীকের চিঠিপ্রাপ্তকে প্রার্থী হিসেবে রেখে বাকিদের বাতিল করবেন। ফলে আজ সবগুলো আসনেই বিএনপি-আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী নির্ধারণ হবে।

দলীয় প্রার্থীদের প্রতীক নির্দিষ্ট থাকায় তাদের ক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণা শুরুর জন্য প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তারা আগে ভাগেই সাদা-কালো (নির্দিষ্ট সাইজের) পোস্টার, ব্যানার-লিফলেট তৈরি করে রেখেছেন প্রচারণার জন্য, যাতে আজ প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই ভোটারদের কাছে যেতে পারেন।

কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা তাদের ক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আজ প্রতীক বরাদ্দের পরই তারা পোস্টার, ব্যানার-লিফলেট তৈরি করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর শেষদিন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৮০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ২ ডিসেম্বর বাছাইকালে ৪৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এরপর চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৩ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বাতিল হওয়া প্রাথীদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ১৩ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পান। ফলে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪৬ জনে। গতকাল রোববার বিএনপির ৬ জনসহ মোট ১৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৭ জন।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘কোনো কোনো আসনে একই দলের একাধিক প্রার্থী রয়ে গেছেন। তবে এক্ষেত্রে আমরা দল থেকে পাওয়া চূড়ান্ত মনোনয়নের তালিকা ধরে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবো। তাই একই দলের একাধিক প্রার্থী থাকার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই একই দলের একজন ছাড়া বাকিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাদ হয়ে যাবেন।’

প্রকাশ :ডিসেম্বর ১০, ২০১৮ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ