শিশুরা হচ্ছে বাবা-মায়ের কলিজার টুকরা।শিশুর কষ্ট হলে বাবা-মা যেমন কষ্ট পান তেমনি যারা শিশুদের ভালোবাসেন তারা মনে মনে অনেক কষ্ট পান।তাই শিশুরা চকোলেট খাওয়া বা স্কুলের কোনো বিষয়ে মিথ্যা বললে বাবা-মা বুঝতে পারলেও তেমন আমলে নেন না। তবে আপনার শিশু যখন ক্রমাগত মিথ্যা বলে তখন কিন্তু বিপদসংকেত।
আসুন জেনে নেই শিশুরা মিথ্যা বললে কী করবেন?
৬ বছর বয়স
সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য শিশুরা বুঝতে পারে না। এমনকি মিথ্যা বলার সময়ও শিশুদের মাথায় কাজ নাও করতে পারে। ৬ বছরের বয়স সাধারণ শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বয়স। তাই এই বয়সে শিশুরা মিথ্যা বলে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
স্কুলে গেলে
স্কুলে গেলে শিশুদের অনেক সময় মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ে। কারণ নতুন মুখদের মাঝে নিজের ভুল লুকাতে তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ভালোবাসার মাধ্যমে এ অভ্যাস থেকে বের করে আনা যায় তাদের।
আত্মবিশ্বাস ও নিরাপত্তা
আত্মবিশ্বাস ও অনিরাপত্তার অভাবে অনেক সময় শিশুরা মিথ্যা বলে থাকে।তাই শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন তারা যেন কোনো বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ও অনিরাপত্তা বোধ না করে।
বাবা-মা
শিশুদের ব্রেন খুবই সূক্ষ্ম, তাই তরা যা শোনে তা দ্রুত মনে রাখতে পারে। শিশুরা বাবা-মায়ের মিথ্যা বলা থেকেও এ শিক্ষা লাভ করতে পারে।
সত্য ও মিথ্যা ধারণা
স্কুলে যাওয়ার আগেই শিশুদের সত্য এবং মিথ্যা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে বাবা-মাকে। তখন মিথ্যা বললেও এ থেকে সাবধান থাকার চেষ্টা করবে সে।এ সময় রূপকথার গল্প অভিভাবকদের জন্য সহায়ক হতে পারে। মিথ্যা বললে কি কি হয়- এমন বহু গল্প প্রচলিত রয়েছে। এসব শিক্ষণীয় বই।
শিশুদের আদর করুন
মিথ্যা বললে শিশুকে বকা দেবেন না বা গায়ে হাত তুলবেন না। তাকে আদর করে কাছে ডেকে মিথ্যা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করুন।সত্য বলাসহ যে কোনো ভালো কাজের জন্য উপহার দিন।