২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১৬

থাই পেয়ারা চাষে ঝুঁকছে মণিরামপুরের চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মণিরামপুরে চলতি মৌসুমে থাই বারী-৫ জাতের পেয়ারার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলনশীল হওয়ায় থাই পেয়ারা চাষে ঝুঁকছে উপজেলার চাষিরা। বিশেষ করে উপজেলার হরিহরনগর, শ্যামকুড়, রোহিতা, দূর্বাডাঙ্গা, খেদাপাড়া ইউনিয়নের অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে থাই বারী-৫ জাতের পেয়ারার চাষ বেড়েছে।
 উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পেয়ারা চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আষাঢ়ের শুরুতেই পূর্বে চাষ করে প্রস্তুতকৃত জমিতে পেয়ারার চারা লাগানো শুরু হয়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই হাইব্রিড জাতের থাই বারী-৫ পেয়ারা গাছে ফলন আসতে শুরু করে। একাধারে ফল দেয় প্রায় বছর পাঁচেক। বছরের প্রায় সারা সময়ই এ জাতের পেয়ারার ফলন হয়ে থাকে। তবে, গাছের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চাষিরা দুই মৌসুমে ফল রেখে বাকি ফুল বিনষ্ট করে থাকেন। বাজারে থাই বারী-৫ জাতের চারার প্রতিটির বর্তমান মূল্য ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ টাকা।
 থাই পেয়ারা চাষি উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের পেয়ারা চাষি রানা হাসান জানান, চলতি মৌসুমে বাগান থেকে বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ মন পেয়েরা হারবেস্ট করা যাবে। পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকা হারে তাতে ১০ বিঘা জমিতে প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকার পেয়ারা বাজারজাত করা যাবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মধুপুর গ্রামের চাষি সোলায়মান কবীরের স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবক ছেলে মেহেদি হাসান পাখি স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রদীপ কুমার রায়ের পরামর্শে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার চাষ করেছেন। এছাড়াও তিনি একই সাথে তিন বিঘা জমিতে বাউ কুল ও পাঁচ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করেছেন।
 উপজেলা কৃষি অফিসার সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, খাদ্য ও পুষ্টি গুনে ভরপুর থাই পেয়ারা চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে এ উপজেলায়। পেয়ারার বাজারে চাহিদাও থাকে সারা বছরই। তাছাড়া  স্বল্প বিনিয়োগে বেশী লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষি অফিসের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন এলাকায় পেয়ারার চাষ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

 

প্রকাশ :জুন ৭, ২০১৭ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ