বছরের শুরুতে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত তিনটি জয়, পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে আসা। সে ধারাবাহিকতায় দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা ও সবশেষ ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতা।
সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে চলতি বছরটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। এবছর এখনো পর্যন্ত খেলা ১৭ ম্যাচের ১১টিতে জয়, পরাজয় মাত্র ৬টিতে। জয়ের হার ৬৫ শতাংশ। যা কি-না চলতি বছরে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে বেশি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের তিন ম্যাচেও ইতিবাচক ফল পেলে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় থেকেই বছরটা শেষ করতে বাংলাদেশ।
এ বিষয়টা মাথায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজারও। তার ভাবনাতেও রয়েছে সিরিজটা ভালোভাবে শেষ বছরের প্রাপ্তির খাতাটা আরও ভারী করার চিন্তা। শনিবার ওয়ানডে সিরিজের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
মাশরাফি বলেন, ‘এই বছরে আমাদের জয়ের হার অনেক ভালো। স্রেফ দুইটা ফাইনাল বাদ দিলে। নিঃসন্দেহে এখানে একটা ফাইনাল জিততে পারলে ভালো হত, বিশেষ করে এশিয়া কাপ ফাইনালটা। এছাড়া আমার কাছে মনে হয় এই বছর আমাদের অবস্থান খুব ভালো আছে। আর অবশ্যই, ভালোভাবে শেষ করতে পারলে খুব ভালো হবে। বিশেষ করে সামনের বছর শুরু থেকে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। শেষটা ভালো করলে এই বছরটা খুব ভালো যাবে।’
শেষটা ভালো করতে চান জানালেন টাইগার অধিনায়ক, সেটা কি ক্যারিবীয়দের ৩-০’তে হারিয়ে দিয়ে ধবলধোলাই করে দেয়া? এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কিছু বলতে চাননি মাশরাফি। এর চেয়ে বরং ম্যাচ বাই ম্যাচ এগুনোর দিকেই মনোযোগ তার।
টাইগার অধিনায়কের ভাষ্যে, ‘এখনো ওয়ানডে একটাও শুরু হয় নি, হোয়াইটওয়াশ করার কথা মাথায় আসার সুযোগ নেই। তবে প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক কাল কেমন হয়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভালো দল। তাদের মাসল পাওয়ার অনেক বেশি। এই ধরনের ফরম্যাটে একজন বা দুইজনই কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই জায়গাটায় ওদের কয়েকজন আছে এমন যারা প্রতিপক্ষ বোলিংকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দিতে পারে।’
মাশরাফি আরও যোগ করেন, ‘ওদের বিপক্ষে সীমিত ওভারে খেলতে নামলে এই বিষয়টা (পাওয়ার হিটিং) খেয়াল রাখা খুবই জরুরী। তবে আসলে তিনটা ম্যাচের কথা তো এখনই বলা যায় না। ওদের জন্য ফরম্যাট যত ছোট হবে তত বেশি সহজ হবে। আমার কাছে মনে হয় প্রথম ম্যাচের দিকেই ফোকাস থাকাই বেশি ভালো।’